শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলারের শেষজনকে উদ্ধারের পর ভেতরে ছিলেন কেবল তাদের কোচ। সবশেষ তাকে বের করে আনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো অভিযান। দুই সপ্তাহ আটকে থাকার পর গত তিনদিনের অভিযানে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হলো। দেশটির নৌবাহিনী ১৩ জনেরই উদ্ধার হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, সবাই সুস্থ আছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একে অভাবনীয় সফল অভিযান আখ্যা দিয়েছে। তবে ভেতরে এখনও ৪ ডুবুরির আটকে থাকার খবর দিয়েছে তারা।গত ২৩ জুন ফুটবল অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ওই ১২ কিশোর ফুটবলার গুহাটির ভেতরে ঘুরতে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর বের হতে পারেনি। এরপর টানা ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদের শনাক্ত করেন ডুবুরিরা। রবিবার (৮ জুলাই) থাইল্যান্ড সরকার তাদের উদ্ধারে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।অভিযান শুরুর দিন রবিবার চারজন এবং সোমবার আরও চারজনকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত যৌথ কমান্ড সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক নারোংসাক ওসোতানাক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, অবশিষ্ট পাঁচজনকে একই সময়ে বের করে নিয়ে আসা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ১৯ জন ডুবুরি গুহায় প্রবেশ করেছেন। সোমবার দিবাগত রাতের প্রবল বৃষ্টির পরও গুহার পরিস্থিতির তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। মঙ্গলবার ৪ জন কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে অভিযান শেষ হয়। গুহার প্রবেশপথ থেকে ‘তৃতীয় চেম্বার’ বা অভিযান শুরুর এলাকার দিকে যেতে হলে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় উদ্ধারকারীদের। ‘তৃতীয় চেম্বার’ থেকে শিশুদের কাছে পৌঁছাতে তাদের যেতে হয় আরও ১.৭ কিলোমিটার। আটকে পড়া ফুটবলারদের চারটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলে ছিল চারজন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দলে ছিল তিনজন করে। অভিযানের প্রথম দিনে সবার আগে বের হয়ে আসে ১৪ বছর বয়সী আদুল ‘দুল’ স্যাম। আটকে পড়া ফুটবল দলটির কোচ বের হন তৃতীয় দিনের অভিযানের সবশেষ ব্যক্তি হিসেবে।
কিশোর ও তাদের কোচকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ৪ ডুবুরি গুহার ভেতর থেকে বের হতে সক্ষম হননি।