Home » ১৫ বছর পর বসছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক

১৫ বছর পর বসছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক

প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিতব্য এ বৈঠকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা নির্ধারণ করা না হলেও আলোচনার সময় পারস্পরিক স্বার্থের সকল বিষয়ই আলোচনায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।’

সেই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এত দীর্ঘ বিরতির পর, আগে থেকে বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া কঠিন, তবে ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা হবে।’

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হুসেন খানও এ যোগ দেবেন। তিনি বাসসকে জানান, ইসলামাবাদ ঢাকার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে আগ্রহী।

ইকবাল হুসেন বলেন, ‘পাকিস্তান বিশেষ করে তাদের পণ্যের দাম প্রতিযোগিতামূলক বিবেচনায় বাংলাদেশে রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে। তুলাকে প্রধান পণ্য হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তান তুলা সরবরাহ করতে আগ্রহী।’

হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘পাকিস্তান যেহেতু আফগানিস্তান ও ইরান থেকে পণ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। তাই পরিবহন খরচ কম হলে বাংলাদেশের জন্য পাকিস্তানের মাধ্যমে আমদানি অন্বেষণ করার সুযোগ রয়েছে।’

পাকিস্তানের এয়ারলাইনস ফ্লাইট জিন্নাহ ছাড়াও শিয়ালকোটভিত্তিক এয়ার সিয়ালও ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি।

ইকবাল হুসেন বলেন, ‘ফ্লাই জিন্নাহ বর্তমানে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, এয়ার সিয়াল অনুমোদন পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরাসরি বিমান সংযোগ পর্যটন বৃদ্ধি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ঐতিহাসিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘সারা বিশ্বে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিষয় বিদ্যমান থাকে, তবে বর্তমান সম্পর্ক বা অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়।’

বাসস জানায়, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এ মাসের শেষে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারেরও ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশে এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এ সফরের তারিখ চূড়ান্ত করছি। তবে সফরটি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *