রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকায় অবস্থিত ‘আপন কফি হাউজের’ সামনে এক তরুণীকে লাঠিপেটার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কর্মচারী প্রকাশ্যে এক তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা।
পুলিশ জানায়, ভিডিওটির সূত্র ধরে আপন কফি হাউজের ম্যানেজার আল-আমিন এবং কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে আটক করা হয়েছে। কফি হাউজের মালিক জিয়াউর রহমানকে ঘটনাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ জানান, ভিডিওটি সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভাইরাল হয়, তবে ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ এপ্রিল। ভিডিওতে যাকে লাঠি হাতে দেখা যায়, তিনি শুভ বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকে আল-আমিন ও শুভকে আটক করে রামপুরা থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ওসি আতাউর রহমান বলেন, “যদি তরুণী বা তার অভিভাবককে পাওয়া না যায়, তাহলে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই কর্মী দাবি করেছেন, মেয়েটির আচরণে তারা ‘বিরক্ত’ হয়েছিলেন। তাদের ভাষ্যমতে, তরুণীর মানসিক সমস্যা রয়েছে এবং তিনি একাধিকবার কফি শপে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে তারা এমন আচরণ করেন বলে দাবি করেছেন।
তবে ভিডিওতে এমন আচরণ দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে, অনেকেই ঘটনাটিকে অমানবিক ও ন্যক্করজনক বলে অভিহিত করেছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে অনেকে লিখেছেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও, তার সঙ্গে এমন আচরণ বর্বরতা ছাড়া কিছুই নয়।”
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে খুঁজে বের করে আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।