মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পের তিনদিন পরও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার ধ্বংসস্তূপের জঞ্জালের মধ্য থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা জান্তার শাসনে থাকা মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ এই উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তুলেছে।
মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির এক প্রতিনিধি রয়টার্সকে বলেন, ‘উদ্ধারকাজের জন্য সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বাধার কারণে এলাকাগুলোতে পৌঁছানো কঠিন।’
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে থাকা মান্দালয়ে ধসে পড়া ভবনগুলো থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চীনা উদ্ধারকর্মীরা মান্দালয়ের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একজনকে জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বের করে আনছেন।
মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৬৫ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ২৭০ জন। দেশটির সামরিক জান্তা এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।
এদিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) বলছে, ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সোমবার পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ৪১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার হওয়া এই ভূমিকম্পে হতাহতদের সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে গণমাধ্যমের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ রয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের মতে, মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।