আজ ঐক্য গড়ার দিন। নিজেদের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা আরও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় ঈদগাহে উপস্থিত সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আজ সোমবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘যে নৈকট্য এবং ঐক্য আমরা শুরু করলাম তা নিয়ে যেন আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি। অবশ্যই যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন তাদের স্বপ্ন পূরণ করবই। আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই, ইনশাল্লাহ।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি বাজারে প্রতিটি গঞ্জে শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যারাই যেখানে ঈদের জামাতে শরিক হয়েছেন সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। যারা ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার সুযোগ পাননি তাঁদেরও ঈদ মোবারক। আমাদের মা-বোনেরা যারা ঘরে আছেন তাঁদেরও ঈদ মোবারক। আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা যারা সারা বছর কষ্ট করেছেন আমরা জাতির পক্ষ থেকে তাঁদেরও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। যারা হাসপাতালে আছেন, রোগী, তাঁদেরও ঈদ মোবারক।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ঈদ দূরত্ব ঘোচানোর, নৈকট্য, ভালোবাসার দিন। দিনটি যেন ভালোভাবে উদযাপন করতে পারি,আজকে ঐক্য গড়ে তোলার দিন। আমরা স্থায়ীভাবে ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।’
জামাতে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি।
এদিকে, ঈদ জামাতের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাবলয় পাড় হয়ে মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন। মুসুল্লিরা পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবারের জাতীয় ঈদগাহে ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, ঈদগাহে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা ছিল।