পবিত্র রমজান মাসের বিশেষ মর্যাদার অন্যতম দিক লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত, যার অপর নাম শবে কদর। মহিমান্বিত, বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ এই রাতে নামাজ আদায় করতে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারসহ নগরীর প্রতিটি মসজিদে ভিড় করছেন মুসল্লিরা। এশা ও তারাবির পাশাপাশি তারা বিভিন্ন নফল ইবাদত করছেন। তাবারিতে কোরআন খতম হয়েছে আজ। এতে মহিমান্বিত এই রাতে যুক্ত হয়েছে বাড়তি আমেজ।
জানা যায়, প্রতি বছরেই শবে কদর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসেন সিলেটের এই দুই ওলির মাজারে। এবারও এসেছেন তারা। এক মাজার থেকে আরেক মাজারে যাচ্ছেন এবং মহান আল্লাহ কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
সরেজমিনে হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরান রহ. মাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাজারে প্রবেশের প্রতিটি গেইটে মুসল্লিদের উপস্থিতি। একদিকে মুসল্লিরা প্রবেশ করছেন অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মাজার মসজিদে ইবাদত করছেন, কেউবা মাজার জিয়ারত ও পার্শ্ববর্তী কবরস্থান জিয়ারত করছেন। মাজার এলাকায় ঘুরাঘুরিও করছেন অনেকে।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

প্রতিনিধি