Home » তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়েছে, জ্ঞান ফিরেছে কথা বলছেন পরিবারের সাথে

তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়েছে, জ্ঞান ফিরেছে কথা বলছেন পরিবারের সাথে

মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভার বিকেএসপি মাঠে অল্প সময়ের মধ্যেই দুইবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে সদ্য সাবেক হওয়া ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। জরুরি অবস্থায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। এমনকি বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল-ক্লিনিক শাখা) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।

তিনি বলেন, তিনি (তামিম ইকবাল) একিউট এমআই বা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, যার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রাথমিকভাবে প্রাইমারি পিসিআই করা হয় এবং এলসিএক্স নামের ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। তাই জরুরিভিত্তিতে সেখানে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্লকেজ কমে গিয়ে হার্টে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, যা তাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, প্রথমে হাসপাতালে আসার পর তিনি ছেড়ে চলে যান, কিন্তু পরে আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে পুনরায় ভর্তি হন। তাকে ১৫ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া হয়। তিনি তখন অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন এবং বর্তমানে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) আছেন। তার স্ত্রী এবং বিকেএসপি পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতাল শাখার পরিচালক আরও বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তার (তামিম) অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে, তবে তিনি এখনও নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

উল্লেখ্য, আজ সকালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে বিকেএসপি তিন নাম্বার মাঠে ছিলেন তামিম ইকবাল। টস হওয়ার পরেই কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করেন তামিম। এরপর পরিস্থিতি খানিক অবনতি হলে তাকে ঢাকায় আনার উদ্দেশে হেলিকপ্টার নেয়া হয়। যদিও জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসার মতো পরিস্থিতি ছিল না।

পরবর্তীতে সাভারের কেপিজি হাসপাতালে (পূর্বের ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতাল) নেয়া হয় তাকে। সেখানেই এখন পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেই তাকে ঢাকায় আনার কথা রয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *