ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা: এই প্রশ্নে বিভক্ত গোটা ফুটবল বিশ্ব। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। জমে উঠে তর্ক। একে অন্যকে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ফুটবলীয় এক লড়াই। সব মিলিয়ে এই দুই চিরপ্রদ্বন্দ্বীর মাঠের লড়াই হয়ে উঠে কোনো আসরের ফাইনাল। সেটা মানছেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োসও। আর সেই ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আগামী ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচ ঘিরে এরইমধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে সমর্থকদের মধ্যে। শতাব্দীর প্রাচীন দ্বৈরথ নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও তুলে ধরেন মার্কিনিয়োস।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত মার্কিনিয়োস বলেন, ‘আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ কখনও স্রেফ অন্য একটা ম্যাচের মতো হবে না। এটা কেবলই আরেকটা প্রীতি ম্যাচে কিংবা বাছাইয়ের একটা ম্যাচ হবে না। এটা সবসময়ই কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালের মতো হবে। আর আমাদের জন্য হবে অনেক বড় এক ক্লাসিক লড়াই। এই মানসিকতা, অনুপ্রেরণা ও প্রাণশক্তি নিয়েই আমরা ম্যাচটি খেলতে যাব।’
পিএসজির এই ডিফেন্ডার আরও বলেন, ‘আমরা এই ধরনের ম্যাচ পছন্দ করি এবং খেলতে চাই। এই ধরনের ম্যাচ খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হওয়া সহজ। ইতিবাচক ফল পাওয়ার জন্য এখন সম্ভাব্য সেরা উপায়ে প্রস্তুত হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ভালো একটি ম্যাচ খেলা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন জরুরি। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঠিক এটাই আমরা চাই।’
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মার্কিনিয়োস বলেন, ‘লড়াইটির মাহাত্মের কারণেই এটা ধ্রুপদী দ্বৈরথ হয়ে উঠেছে, এর ইতিহাস সুদীর্ঘ। মাঠের উত্তপ্ত লড়াই আর দ্বৈরথের কারণে এটা কঠিন এবং আগুনে এক লড়াই। মাঠে প্রতিটা বলের জন্য দুই দল একে অন্যের সঙ্গে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশ্য দল দুটি এখন ভিন্ন রকমের সময় কাটাচ্ছে। আর্জেন্টিনা সম্প্রতি বিশ্বকাপ জিতেছে আর আমরা ভালো করছি। প্রতিটা ম্যাচেই আমরা বেড়ে ওঠার চেষ্টা করছি এবং নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়াতে পারছি।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। দুইয়ে ইকুয়েডর। আর ২১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ব্রাজিল।

প্রতিনিধি