শিশু শিল্পী হিসেবে আট বছর বয়স থেকেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। আজ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তবে এই যাত্রা মোটেই সুখকর ছিল না অভিনেত্রী অবনীত কৌরের। বেশ কয়েকবার খারাপ ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম হাউটার ফ্লাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অবনীত। এ সময় নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার নানা কথা শেয়ার করেন তিনি।
২৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার তখন আট বছর বয়স। নাচের মহড়ায় আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করা হয়েছিল। আমি আমার মাকে গোটা বিষয়টি বলি, আমার মা আমাকে খারাপ স্পর্শ আর ভালো স্পর্শের মধ্যে পার্থক্য বোঝান। আট বছর বয়সে হয়তো এটা আমার না বুঝলেও চলত কিন্তু আমার মা আমাকে সবকিছু খোলাখুলি ভাবে জানান। মায়ের বলা কথা শোনার পর থেকে আমি সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে শুধু যৌন নিগ্রহ নয়, একবার মৌখিক নির্যাতনও করা হয়েছিল আমাকে। তখন ১১ কি ১২, একটা ঘটনা এমন ঘটেছিল যা আমাকে সত্যি ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। শুটিং চলাকালীন আমি একটা জিনিস বারবার ভুল করছিলাম, তখন হঠাৎ করে মাইক অন করে আমাকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করতে শুরু করেন পরিচালক।’
অবনীত বলেন, ‘মাইক অন করে পরিচালক বলেন, আমি কিছুই করতে পারব না। ইন্ডাস্ট্রিতে কোনোদিন সফল হতে পারব না আমি। আমাকে মৌখিকভাবে গালিগালাজও করা হয়েছিল সেই দিন। বাবা মা সেটে না থাকার দরুণ আমি সেদিন ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে সবকিছু বাবা-মার কাছে খুলে বলেছিলাম তবে আত্মবিশ্বাস ভেঙে গিয়েছিল অনেকটাই।’
উল্লেখ্য, আট বছর বয়সে রিয়ালিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স লিটিল মাস্টার’ শোয়ের হাত ধরে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অবনীত। ২০১২ সালে ‘মেরি মা’ সিনেমায় অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। বেশ কয়েকটি টিভি শোয়ে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় তাকে।
২০১৪ সালে ‘মর্দানি’ সিনেমায় কাজ করে প্রথম বড়পর্দায় ডেবিউ করেন অভিনেত্রী। ২০২৩ সালে ‘পিকু ওয়েডস শেরু’ সিনেমায় প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী।

প্রতিনিধি