২০০৭ সাল থেকে সাদা বলে দুটি বিশ্বকাপ হচ্ছে ক্রিকেটে। সামনে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যে বিশ্বকাপই থাকে, এখন এশিয়া কাপও হয় সেই সংস্করণে। এমনকি বিশ্বকাপ খেলুড়ে দলগুলোর দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও গুরুত্ব পেতে থাকে পরবর্তী বিশ্বকাপ সংস্করণের ক্রিকেট।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে সেপ্টেম্বরে ভারতে হওয়ার কথা এশিয়া কাপ ক্রিকেট। বিশ্বকাপ যেহেতু টি-টোয়েন্টি সংস্করণের, এশিয়া কাপেও টি-টোয়েন্টিই হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তো দুই দেশের মধ্যে আসন্ন দুটি সিরিজ থেকেও ওয়ানডে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে মাসে পাকিস্তান এবং জুলাই মাসে বাংলাদেশে হতে যাওয়া দুটি সিরিজের ৮টি ম্যাচই হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী মে মাসে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা।
কিন্তু দুই বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডের পরিবর্তে সিরিজটা এখন হবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। আবার এফটিপির বাইরে জুলাই মাসে বাংলাদেশে এসে পাকিস্তানের খেলার কথা ছিল তিন ওয়ানডের সিরিজ। সেটিও এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরে এই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে এসে ম্যাচ তিনটি খেলবে পাকিস্তান দল।পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে সিরিজকেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে রূপান্তরিত করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আগামী বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। মূলত এ কারণেই দুই বোর্ড মনে করেছে এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচই বেশি খেলা উচিত। তা ছাড়া আমাদের মতো পাকিস্তান দলও রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাদেরও অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে নেই। এই অবস্থায় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দল গোছাতেও এই সংস্করণে বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন।’সামনে এত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, অথচ এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের কোনো টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নেই। নাজমুল হোসেন গত জানুয়ারিতে জানিয়ে দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব আর তিনি দেবেন না।
তবে বিসিবি চাইলে টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করতে রাজি আছেন নাজমুল। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই শেষ হয়েছে তাঁর অধিনায়কত্বের আগের মেয়াদ।বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, অধিনায়কত্বে এই মুহূর্তে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই বোর্ডের। আগামীকাল অনুষ্ঠেয় বোর্ড সভায় আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে নাজমুলকেই টেস্ট দলের অধিনায়ক রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। ওয়ানডেতেও হয়তো তিনিই অধিনায়ক থাকবেন। যদিও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ব্যাপারে এই সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আগামী জুনে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে ওয়ানডে নেই বাংলাদেশের, পরবর্তী টি-টোয়েন্টি সিরিজও মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই দুই সংস্করণের অধিনায়ক নির্বাচন করতে তাই আরেকটু সময় নিতে চায় বোর্ড। তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে এখনো সম্ভাব্য নাম লিটন দাসই।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন প্রিমিয়ার লিগ খেলায় ব্যস্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজের প্রস্তুতি শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ১১ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৮ এপ্রিল।

প্রতিনিধি