ইসলাম ধর্মের প্রতি হামজা চৌধুরীর অনুরাগ নজর কেড়েছে সবার। শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে সবশেষ ম্যাচে হাত তুলে প্রার্থনা কিংবা কথা ও চালচলনে যার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর পেছনে রয়েছে তার পারিবারিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় শিক্ষা।
কুরআন হাতে টিম বাস থেকে সালাহ-মানেদের নেমে আসার দৃশ্য খুবই পরিচিত ফুটবল বিশ্বে। খেলার মাঠে ধর্মীয় আবেগ প্রকাশে কম যান না হামজা চৌধুরীও। শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে সবশেষ ম্যাচে হাত তুলে প্রার্থনাও করতে দেখা গেছে সাবেক লেস্টার সিটির এই তারকাকে। এ ছাড়া মাঠে নামার আগে নিয়মিতই পরেন আয়াতুল কুরসি
হামজার এই ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণ তার পারিবারিক শিক্ষা। হবিগঞ্জে তার বাড়ির পাশেই রয়েছে লালু সালু সম্বলিত এক মাজার শরিফ। খাদেমরা জানান, তাদের পীর স্বয়ং হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরী। পার্শ্ববর্তী আরেক পীরের কাছ থেকে খেলাফত প্রাপ্ত তিনি।
হামজার বাড়িতে ধর্মীয় রীতি মেনে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় ওরস মাহফিল। ভক্তদের দাবি এসব কিছুর প্রভাব আছে হামজার জীবনেও। ফুটবল মাঠেও দেখা মেলে যার কিছু অংশ।
মাজার শরীফের ঠিক পাশেই রয়েছে এতিমখানা মাদ্রাসা। যার খরচের পুরোটাই বহন করে হামজার পরিবার।পাশাপাশি এলাকার গরিব দুঃখীরাও যেকোনো বিপদে পাশে পায় হামজার পরিবারকে। যেখানে এবার হামজার নিজ বাড়িতে আসার অন্যতম কারণ ছিলো নিজ হাতে অসহায়দের ঈদ উপহার তুলে দেওয়া।

প্রতিনিধি