স্পেনের ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রোজা রেখে ম্যাচ খেলতে নামবেন লামিন ইয়ামাল। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নেশন্স লিগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে রোজ রেখে খেলবেন ইয়ামাল।
এর আগেও ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল বার্সেলোনার হয়ে রোজা রেখে খেলছেন। তবে ফুটবল বিশ্বে এই ঘটনা নতুন নয়। অনেক মুসলিম ফুটবলাররাই রোজা রেখেই খেলতে নামেন। স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে অতীতে কেউ কখনই রোজা রেখে খেলতে নামেনি।
যদিও ইয়ামালই স্পেন জাতীয় দলে খেলা প্রথম মুসলিম ফুটবলার নন। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি, মুনির এল হাদ্দাদিরাও ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবে ত্রাওরে ও ফাতি রমজান মাসে স্পেনের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয় মুনিরের। দেশটির জার্সিতে তিনি ওই এক ম্যাচই খেলেছেন। তবে সেই সময় রমজান মাস ছিল না।
উয়েফা নেশনস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। ফিরতি লেগ রোববার (২৪ মার্চ রাতে। ইনজুরি মুক্ত থাকলে দুটি ম্যাচেই খেলবেন ইয়ামাল। রোজা রেখে খেলতে নামবেন এই তরুন। ইয়ামালের জন্ম স্পেনে হলেও তার বাবা মুনির নাসরাউয়ি একজন মরোক্কান মুসলিম।
ডিএজেএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল জানিয়েছেন রোজা রেখে খেলতে তার কোনো সমস্যা হয় না, মনেই হবে না যে আপনি ক্ষুধার্ত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরকে পানিশূন্যতা না রাখা। ক্লাবে (বার্সায়) আমি এই বিষয় নিয়ে খুব সতর্ক ছিলাম। (ফজরের) নামাজ পড়ার জন্য আমি ভোর পাঁচটায় উঠি। এরপর ইলেক্ট্রোলাইট জাতীয় পানীয় পান করি, যা সারাদিন সারাদিন আপনার শরীরকে পানিপূর্ণ রাখবে। যখন খাওয়ার (ইফতারের) সময় হয়, আমি চিনি না খাওয়ার চেষ্টা করি। এর পরিবর্তে প্রচুর পানি পান করি। তাই সবকিছুই খুব নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গত বছরও মার্চের মাঝামাঝি সময়ে রমজান মাস শুরু হয়েছিল। সেই সময় ইয়ামাল স্পেনের হয়ে দুটি ম্যাচ খেললেও রোজা রাখেননি। তবে এবার তার মনে হয়েছে, তিনি রোজা রেখে খেলতে পারবেন।

প্রতিনিধি