Home » তিস্তায় ভাঙনের মুখে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল আনন্দলোক -বিদ্যালয় অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া

তিস্তায় ভাঙনের মুখে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল আনন্দলোক -বিদ্যালয় অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া

রংপুর: জেলার গঙ্গাচড়ায় তিস্তায় ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল আনন্দলোক বিদ্যালয়। এর ফলে আতঙ্কে ও অনিশ্চয়তায় রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিস্তার চরাঞ্চলে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিশু সন্তানদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে বেসরকারি সংস্থা জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন। সংস্থার রিচ আপ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় বর্তমানে তিনজন শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৮৯ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। কিন্তু বর্তমানে তিস্তার ভাঙন এসে ঠেকেছে একদম বিদ্যালয়ের কাছে। ”আর মাত্র পাঁচ ফুট ভাঙলে যে কোনো সময় বিদ্যালয়টি তিস্তা গর্ভে বিলীন হবে। এ কারণে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার ভাঙন এসে ঠেকেছে একদম বিদ্যালয়ের কাছাকাছি। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী ভাঙন ঠেকাতে বাঁশের পাইলিংসহ গাছের ডালপালা ফেলছে ভাঙন এলাকায়। এ সময় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফ, শাহিদা, ওয়ালিদসহ অনেকে বলে, ‘স্কুলটি ভাঙি গেলে হামরা কোনটে পড়া পড়মো।’ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাছরিন সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ভাঙন থেকে রক্ষা করতে না পারলে শিশুদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু তালেব বসনিয়া বলেন, ‘চরাঞ্চলে পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন ব্যতিক্রম কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু বিদ্যালয়টি বর্তমানে ভাঙন হুমকির মুখে। এটি ভেঙে গেলে চরাঞ্চলে শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।’ জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আব্দুল মজিদ ও আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ভাঙন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। ‘ইত্তেফাক

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *