কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করলে তাদের হত্যা করা হবে না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছিলেন, কুরস্কে পুরোপুরি ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় সেনারা একদম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। এই অবস্থায় তাদের প্রাণভিক্ষা দেওয়ার জন্য পুতিনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। নইলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভয়াবহতম গণহত্যার একটি সেখানে সংঘটিত হতে পারে।
এদিকে, নিজ সেনাদের বন্দি হওয়ার খবরকে রাশিয়ার ছড়ানো গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটুকু স্বীকার করেছেন যে, কুরস্কে থাকা ইউক্রেনের সেনারা মারাত্মক জটিলতার মধ্যে আছে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত রুশ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় পুতিন বলেছেন, ট্রাম্পের আহ্বান তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় চালিয়েছে, তা সন্ত্রাসবাদের কাতারে পড়ে। তবে মানবতার খাতিরে তিনি ট্রাম্পের আহ্বান অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা যদি অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করে, তবে তাদেরকে প্রাণভিক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ও রাশিয়ার আইন অনুযায়ী তাদের সঙ্গে আচরণবিধি বজায় রাখা হবে।
পুতিন আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে সাড়া দেওয়া তখনই সম্ভব হবে, যখন ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব তার সেনাদের অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করার আনুষ্ঠানিক আদেশ দেবে।
এদিকে, ইউক্রেনকে সতর্ক করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুশ নিরাপত্তা পরিষদের উপ সভাপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে ইউক্রেনীয় সেনাদের পদ্ধতিগত ও নির্মম পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।