জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশের তোপের মুখে পড়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন দাবি সম্বলিত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ২টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন সারজিস আলম।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সাথে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সাথে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয়।
NSU, IUB, AIUB, UIU এই ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সাথে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। আমার সাথে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল। পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্রদলের সেন্ট্রাল নেতা আহমেদ শাকিল ছিল। আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সাথে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওদের ১০-১২ জনের মধ্যে ১-২ জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতকারী মনে হচ্ছিল। বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।
পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সাথে থাকা টোকাই দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সাথে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে। ছাত্রদলের শাকিলসহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
১৬ বছর ধরে টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজকে যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাইলীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তাদেরও পরিণতি টোকাইলীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না। শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।’
এর আগে বুধবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে একজন লেখেন, ‘এনসিপিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করার পর সারজিস আলম আজ আসছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার অনুসারীদের নিয়ে এই এলাকায় শোডাউন দিতে। এ খবর শুনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এআইইউবি, আইইউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলের আত্মপ্রকাশের দিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানায়। এসময় সারজিসের অনুসারীরা ছাত্রছাত্রীদের ওপর চড়াও হয় ও হাত তুলে। পরে সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সারজিস তার গাড়িতে উঠে বসুন্ধরা এলাকা থেকে পিছটান দেয়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সারজিসকে বসুন্ধরা এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।’