কানাডার টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ডেল্টা এয়ার লাইন্সের আঞ্চলিক জেট বিমান উল্টে গেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিমানের ৮০ আরোহীর মধ্যে ১৮ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডিয়ান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,বিমানটি মিনিয়াপোলিস-সেন্ট পল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৮৬ মিনিট পর স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে টরন্টোতে অবতরণ করে। এ সময় সেখানে প্রবল বাতাস ও তুষারঝড়ের প্রভাব ছিল। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।
ডেল্টা জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটি সিআরজে৯০০ মডেলের। তাদের সহযোগী সংস্থা এনডেভর এয়ার পরিচালনা করছিল। বিমানে ৭৬ যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন।
১৬ বছর বয়সী বিমানটি কানাডার বম্বার্ডিয়ার নির্মিত এবং জিই এয়ারোস্পেস দ্বারা চালিত। এটি সর্বোচ্চ ৯০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। দুর্ঘটনার পর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানের অন্তত একটি ডানা ভেঙে পড়েছে।
বিমানের এক যাত্রী জন নেলসন ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায়, উল্টে পড়া বিমানে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী পানি ছিটাচ্ছে। তিনি সিএনএনকে বলেন,অবতরণের আগে কিছু অস্বাভাবিক লাগেনি। কিন্তু মাটিতে স্পর্শ করার পর আমরা পাশের দিকে ঝুঁকে যাই, তারপর পুরো উল্টে যাই। আমি সিটবেল্ট খুলে নিজেকে নিচে নামিয়ে ফেলি। কিছুলোক উল্টো ঝুলছিল, তাদের সাহায্য করতে হয়েছে, বাকিরা নিজেরাই বেরিয়ে আসতে পেরেছে।
যদিও বিমানবন্দরের ফায়ার চিফ টড অ্যাটকিন দাবি করেছেন, রানওয়েটি শুকনো ছিল এবং ক্রসউইন্ডের সমস্যা ছিল না, তবে বেশ কয়েকজন পাইলট এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি।
কেন অবতরণের পর বিমানটি উল্টে গেল? –তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর দুইটি রানওয়ে বন্ধ থাকায় আগামী কয়েকদিন বিমান চলাচলে বিলম্ব হতে পারে।
টরন্টো বিমানবন্দরের প্রেসিডেন্ট ডেবোরা ফ্লিন্ট বলেন, উল্টে যাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা বিরল হলেও, এর আগে ম্যাকডোনেল-ডগলাস এমডি-১১ মডেলের তিনটি বিমান অবতরণের সময় উল্টে গিয়েছিল।