ঢাকার সাভার উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় প্রতিরোধ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলম সমরের বাবার বাড়ি ‘রাজ মঞ্জিল’ ভাঙচুর করতে আসে বিক্ষুব্ধ জনতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজীব ও সমর এই বাড়িতে বাস করলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। এ সুযোগে বাড়িটি ভাঙতে আসেন একদল লোক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা বিকালে সাভারের পাকিজা মোড়ে জড়ো হন এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজ মঞ্জিলের সামনে আসেন। তারা হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, ‘দেশ থেকে সব স্বৈরাচারকে বের করে দেওয়া হবে’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে’, ‘শহীদদের অবদান বৃথা হতে দেওয়া হবে না’।
এরপর তারা রাজ মঞ্জিলের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জানলার কাচ ভাঙচুর করেন। ভবনের বাইরের একটি অংশে আগুন দিতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা তাদের বাধা দেন।
বিক্ষুব্ধ জনতা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে শতাধিক এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেন এবং কয়েকজনকে ধরে পিটুনি দেন। রাতে আবার সেখানে জড়ো হন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তারা (রাজীব-সমর) তো বাড়িতে নেই, তাহলে ভাঙচুর কেন করতে হবে! এখানে আগুন দিলে আশেপাশের বাড়ি-ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কথা না শোনায় আমরা ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি। আবারও কেউ এমন কাজ করতে এলে প্রতিহত করবে।’
আরেক বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওরা (ভাঙচুরকারী) আজকে এই বাড়িতে আগুন দিতে আসছে। এখানে আগুন দিলে এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়বে। আমরা এটা হতে দিতে পারি না।’
বিক্ষুব্ধ জনতার ভিড়ে ছিলেন মাহিদ হাসান রাফসান। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজীবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এর মধ্যে রাজীবের আত্মীয়-স্বজন ও পেটোয়া বাহিনীর একটি অংশ নিজেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের দুই-তিন জন আহত হয়েছেন।’