ডেস্ক নিউজ: সেন্ট পিটার্সবার্গে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অগণিত সুযোগ নষ্টের ম্যাচে এক গোল গড়ে দিলো পার্থক্য। যাতে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সুইডেন উঠে গেল রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। আগামী ৭ জুলাই সামারা অ্যারেনায় সুইডিশদের প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড কিংবা কলম্বিয়া। প্রথম মিনিটে সুইডিশ ডিফেন্ডারের পা ফসকে বল পান জারদান শাকিরি। সুইজারল্যান্ড তারকার শক্তিশালী শট গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। জুবের বাঁ দিক থেকে ৭ মিনিটে বাঁকানো শট নেন লক্ষ্যে, বল সোজা ধরা পড়ে সুইডেন গোলরক্ষক ওলসেনের হাতে। ৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে সুইডেন। অফসাইডের ফাঁদে ধরা দেননি বার্গ, একটু পেছনে থেকে শট নেন লক্ষ্যে। সামনে কেবল ছিলেন গোলরক্ষক। কিন্তু বল চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে। পরের মিনিটে সুইস গোলরক্ষক সমারের ভুলে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান বার্গ, তাকে ব্লক করেন আকানজি। ২৪ মিনিটে জুবেরের ক্রস থেকে শাকিরির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ক্রসবারের উপর দিয়ে। চার মিনিট পর তোইভনেনের হাফ ভলি দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন সমার। ৩৪ মিনিটে আবারও শাকিরি ক্রসবারের উপর দিয়ে বল মারেন। ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড ৩৮ মিনিটে। কর্নার থেকে জুবেরের কাট ব্যাকে জামাইলি বল পান। বক্সের মধ্যে থেকে লক্ষ্যে শট নিয়েও সফল হননি তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে এগিয়ে যেতে পারতো সুইডেন। লুস্তিগের ক্রস থেকে ব্যাক পোস্টে বল পান একডাল। গোলমুখের কয়েক গজ দূর থেকে তার ভলি বিস্ময়করভাবে গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ভাবেই একের পর এক সুযোগ নষ্টের আক্ষেপ নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে ৪৯ মিনিটে ফোর্সবার্গের সৌজন্যে সুযোগ পান তোইভনেন, আবারও বল পাঠান গোলবারের উপর দিয়ে। এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয় সুইডেন। পরের মিনিটে শাকিরি বক্সের মধ্যে বল পেয়েও সুইডিশ ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের কারণে শট নিতে পারেননি। অবশেষে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পাওয়া যায় ৬৬ মিনিটে। তোইভনেনের সঙ্গে ওয়ান টু পাসে বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ফোর্সবার্গ। তার নি শট ঠেকাতে পারতেন সমার। কিন্তু বল সুইস ডিফেন্ডার আকানজির পায়ে আঘাত করে ঢুকে যায় জালে। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারতো সুইজারল্যান্ড। কর্নার থেকে বল পেয়ে এম্বোলো বাঁ পোস্টের দিকে শট নেন। কিন্তু গোলমুখে তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান গ্রাঙ্কভিস্ত। গোলরক্ষকের হাতে বল ঠেকানোর সুযোগ থাকলেও তার আগেই বল বিপদমুক্ত করেন সুইডেন অধিনায়ক। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগ পায় সুইডেন। প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে মার্টিন ওলসোন বক্সের মধ্যে পড়ে গেলে পেনাল্টি দেন রেফারি। যদিও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি ব্যবহার করে সেটা বাতিল হয়।