শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
সিসিক নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি পেশায় ‘সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন ও ডেইরি ফার্ম ব্যবসায়ী’। সিসিকের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফ নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা দাখিল করেছেন, সেখান থেকে তার পেশা সম্পর্কে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামা অনুসারে, গত পাঁচ বছরে আরিফের স্ত্রী শ্যামা হকের সম্পদ সামান্য বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেন বদর আরিফুল হক চৌধুরী। মনোনয়নপত্রের সাথে নিজের সম্পদের হলফনামাও জমা দেন তিনি। হলফনামা অনুযায়ী, সিসিকের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২ টাকা। তার কাছে নগদ ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৭ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা আছে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৩ টাকা গচ্ছিত আছে। আরিফের ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৫ টাকা মূল্যের বন্ড ও ঋণপত্র, ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ ও ধাতু, দেড় লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র, ৮.৫৩ একর কৃষি জমি, ৫.৫৯ একর অকৃষি জমি রয়েছে আরিফের নামে। তার নামে একটি ডেইরি ফার্ম, ২টি দালান ও ৩টি সেমিপাকা দালান রয়েছে। ‘সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন ও ডেইরি ফার্ম ব্যবসায়ী’ হিসেবে আরিফ বছরে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ১২০ টাকা আয় করেন। তার নামে পূবালী ব্যাংকে ৭৭ লাখ ৮২ হাজার ২৫০ টাকা এবং সিটি ব্যাংকে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩ টাকা ঋণ রয়েছে। আরিফের স্ত্রী শ্যামা হকের নগদ ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২২২ টাকা, পোস্টাল সেভিংসে ২ লাখ টাকা, ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের পিকআপ, ১ লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের অলংকার, ৪৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকার আসবাব, ০.০৮ একর অকৃষি জমি, একটি সেমিপাকা দালান রয়েছে। শ্যামা হকের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এবারের হলফনামা অনুসারে, আরিফের অস্থাবর সম্পত্তি পরিমাণ এক কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২ টাকা। সিসিকের গত নির্বাচনে তার দাখিলকৃত হলফনামায় এই সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার ৩৬০ টাকা। গত পাঁচ বছরে তার সম্পত্তি কমেছে ৯৩ লাখ ১১ হাজার ১৬৮ টাকা। ২০১৩ সালে তার স্ত্রী শ্যামা হকের সম্পত্তি ছিল ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৫০৪ টাকা। এবার তার সম্পদ ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭২ টাকা।
বার্তা বিভাগ প্রধান