Home » মধ্যরাত থেকে ট্রেন না চালানোর ঘোষণা

মধ্যরাত থেকে ট্রেন না চালানোর ঘোষণা

বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়োগপত্রের শর্ত সংশোধন করে রানিং স্টাফরা রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোড ভলিউম অনুযায়ী রানিং এলাউন্স প্রাপ্য হবেন বলা হলেও আবার বলা হয়েছে মাসিক রানিং এলাউন্সের পরিমাণ প্রাপ্য মূল বেতনের বেশি হবে না। রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোড ভলিউমে রানিং এলাউন্স প্রাপ্যতার বিষয়ে কোনো ধরনের সীমা নেই, যতটুকু কাজ করবে, আইন অনুযায়ী ততটুকু রানিং এলাউন্স পাবে।

রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোডে চলন্ত ট্রেন ছাড়াও অর্জিত ছুটি ও অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে রানিং এলাউন্স প্রাপ্যতার বিধান রয়েছে। এ কোড অনুযায়ী প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন বিধি-বিধান তৈরি করেছে, যা এখনও বলবৎ আছে। রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোড অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ রানিং এলাউন্স রানিং স্টাফদের বেতনের অংশ (পার্ট অব পে)। যুগ যুগ ধরে রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে বেতনের অংশ হিসাবে ৭৫ শতাংশ রানিং এলাউন্স যোগ করে পেনশন, আনুতোষিক প্রদান করা হয়ে আসছে। যা বিভিন্ন সময় অর্থ মন্ত্রণালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় দ্বারা স্বীকৃত।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে মনগড়া শর্ত আরোপের সুযোগ নেই দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে সবই বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আইনের কিছু অংশ মেনে নিব, কিছু অংশ মেনে নিব না, এ ধরের কোনো কিছু করা বে-আইনি।

বৈষম্যমূলক শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের বৈষম্যমূলক শর্ত এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২৩ জানুয়ারির রেলওয়ে আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক পত্র বাতিল করে রেলওয়ে কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আদেশ জারি করা না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে সকল রানিং স্টাফ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনে বাধ্য হবেন।

এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে রেল মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি-দাওয়া ও চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট। ইতোমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফগণের দাবি-দাওয়াসমূহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও অব্যাহত আছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ইতোমধ্যে তাদের রানিং এলাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইলেজ এলাউন্স পাবার জন্য সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। এ অবস্থায় পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহার করে রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *