Home » বিএসএফের বেড়া, আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশিদের

বিএসএফের বেড়া, আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশিদের

লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে আইন ভেঙে বেড়া দিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শ্রমিক দিয়ে দেড় কিলোমিটারের কাঁটাতারের বেড়াটি নির্মাণ করা হয়।

এরপর থেকেই ওই ইউনিয়নের জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্ত এলাকা একেবারেই সুনসান। নিজেদের জমি চাষে নামতেও ভয় পাচ্ছেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা।

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউনুস আলীর ওয়ার্ডের সীমান্তে এই বেড়া নির্মাণ হয়েছে। তিনি বলেন, বেড়া নির্মাণের পর স্থানীয়রা বেশ আতঙ্কিত। কিছু কিছু স্থানে ওপারে বিএসএফ বাঙ্কার নির্মাণ করেছে। বিজিবিরও টহল বেড়েছে। সব মিলিয়ে আতঙ্কে আছি আমরা।

লালমনিরহাট ৫১ বিজিবি সহকারী পরিচালক (এডি) আমির খসরু বলেন, আমরা চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। বিএসএফ সরে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে। একটি ক্রস মিটিং হয়েছে। কোনও পক্ষই কোনও ধরনের স্থাপনার কাজ করবে না।

ওই দিন যা ঘটেছে

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপ-পিলার ৪৬ থেকে ৩৭ নম্বরের কাছাকাছে শূন্যরেখায় বিএসএফ ৩০ থেকে ৩৫ জন নির্মাণশ্রমিক দিয়ে লোহার এঙ্গেলের খুঁটি দিয়ে প্রায় চার ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। স্থানীয়রা এসব দেখে বিজিবিকে খবর দিলে ৫১ বিজিবির পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেন। এতে কিছু সময় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখলেও পরে কয়েকশত বিএসএফ সদস্য আরও লোকজন নিয়ে আবারও বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকে।

বর্তমান পরিস্থিতি

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সীমান্তে বিএসএফ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে। দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। এপারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা যা বলছেন

পিলার থেকে পিলার বেড়া দিতে গিয়ে কোথাও কোথাও সীমান্ত পার করেছে। বেড়া নির্মাণকে ঘিরে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের জমিতে নামতে ভয় পাচ্ছেন। সীমান্ত সড়কটি চলাফেরা একেবারে কমেছে। স্থানীয়রা এতে বিপাকে পড়েছেন। তাদের দাবি, বিষয়টি সরকারকে দ্রুত দেখা উচিত।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *