সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে রবিবার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মো. নুরাল ইসলামকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সীমান্ত নিয়ে তাকে ভারতের বক্তব্য অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
সরকারের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কূটনীতিতে এটি হচ্ছে একটি সাধারণ রীতি—বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলে দিল্লিতে ঢাকার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব তলব করেছেন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করে।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তারা তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে এবং সেখানে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে যে মেকানিজমগুলো আছে, সেগুলো চালু করা দরকার। অমীমাংসিত বিষয়গুলো হয়তো সমাধান হবে না, কিন্তু আলোচনা করাটা জরুরি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া তৈরি নিয়ে দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার (১২ জানুয়ারি) ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দীন এই উদ্বেগ জানান।
দুদেশের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী সীমান্তে শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কোনও ধরনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের সম্মতির বিধান রয়েছে। বর্তমানে সীমান্তে ভারত যে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির চেষ্টা করছে, সেটির কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
সমঝোতা অনুযায়ী, সীমান্তে শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাঠামো তৈরির সময় যৌথ পরিদর্শন, সম্মতি এবং রেকর্ড অব ডিসকাশনে সেটির উল্লেখ থাকতে হবে।