এবার বিপিএলের উন্মাদনা গত ৬ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে সিলেটে। তবে টিকিট কালোবাজারির চিত্রটা অনেকটা একই রকম। নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে টিকিট। এদিকে,সিলেটে টিকিট ছাড়াই মিলছে দর্শকদের ভিআইপি আসন। দেড় হাজার টাকা চুক্তিতে বিসিবির কার্ডধারী সিকিউরিটি গার্ড নিজেই বিসিবির গাড়ি দিয়ে নিয়ে যান ভিআইপি গ্যালারিতে।
শুক্রবার (১০জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের পাশে এনামা নামে এক সিকিউরিটিকে পাকড়াও করে জনতা ও গণমাধ্যম কর্মীরা। পরে তাকে নিয়ে যায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা।
জানা যায়, শুক্রবার দুরন্ত রাজশাহী-খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ চলাকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের টিকিট কালোবাজারি চক্রের পাশে বিসিবির সিকিউরিটি গার্ড এনামকে পাওয়া যায় টিকিট ছাড়া দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে ভিআইপি গ্যালারিতে বসিয়ে দেয়ার দরদাম করছেন। এ সময় পরিচয় গোপন রেখে সেখানে আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিতি ছিলেন। টিকেট কিনার জন্য দর্শক সেজে কথা হয় এনামের সাথে। জানালেন তিনি বিসিবির লোক। দেশের সব ভেন্যুতে তিনি কাজ করতে পারেন। নিজেকে পরিচয় দিতে দেখান তার বিসিবির দেয়া কার্ড ও ওয়াকিটকি। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে মূহুর্তে সব অস্বীকার করেন সিকিউরিটি এনাম। সঙ্গে সঙ্গে জনতা তাকে পাকড়াও করে বিসিবির দায়িত্বশীলদের কাছে হস্তান্তর করে।
এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ দর্শকরা। তারা বলছেন বিসিবির কর্মচারীরা এভাবে কালোবাজারিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদেরকে ফাঁদে ফেলে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে।
এব্যাপারে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিকিউরিটি কমিনিউটির সিনিয়র সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এনাম ঢাকা থেকে এসেছিলো। ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার কার্ড জব্দ করেছি। সেই সাথে ঢাকায় জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা ঢাকা থেকে গ্রহণ করা হবে। কারণ কার্ড ওইখান থেকে দেয়া হয়েছিল।