গাজা যুদ্ধের ১৫ মাসে সেখানকার জনসংখ্যা প্রায় ছয় শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (পিসিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় লাখ খানেক মানুষ দেশ ছেড়েছেন আর প্রায় ৫৫ হাজার মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বুধবার (১ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, যুদ্ধে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া, আরও ১১ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
এতে গত ১৫ মাসে গাজার জনসংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার কমে ২১ লাখ হয়েছে। এর ৪৭ শতাংশ বা অন্তত ১০ লাখই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু।
পিসিবিএস-এর প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা, অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসরায়েলকে কলঙ্কিত করার জন্য তৈরি’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ।
গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের পরিমাণের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গত জানুয়ারিতে রায় দিয়েছিল যে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধ করতে হবে।
ইসরায়েল বারবার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
পিসিবিএস জানিয়েছে, গাজার প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ বর্তমানে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) মানদণ্ড অনুযায়ী তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।
এই ২২ শতাংশের মধ্যে অপুষ্টি ও খাদ্যের অভাবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে পিসিবিএস জানিয়েছে।