Home » স্বাগতম ২০২৫ নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত হোক ধরা

স্বাগতম ২০২৫ নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত হোক ধরা

পূর্বাকাশে নতুন সূর্য উদিত হওয়ার মধ্যদিয়ে ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার নতুন দিন শুরু হলো আজ। ঘন কুয়াশা সরিয়ে উদ্ভাসিত নতুন সূর্য সব জরা-জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে আরও একটি নতুন বছরের সূচনা করল। বিদায় ২০২৪, স্বাগত ২০২৫ সাল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নববর্ষকে আবাহন করে তাঁর কবিতায় লিখেছেন-…ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে/ উড়ে হোক ক্ষয়/ ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত/ নিষ্ফল সঞ্চয়॥”

অনেক হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনায় মেশানো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘটনাবহুল ২০২৪ সালের শেষ সূর্য অস্ত গেছে কাল। বিতর্কিত নির্বাচন, পরে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনসহ নানা ঘটনা ঘটেছে বিদায়ী বছরে। সবকিছু ছাপিয়ে লাখো প্রত্যাশার ঝাঁপি খুলে আজ ভোরে কুয়াশা ঢাকা পূর্বাকাশে উদয় হয়েছে নতুন বছরের লাল সূর্য। আর এই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুরু হচ্ছে ২০২৫ সাল। জাতির অনেক আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হবার বছর। নতুন বছরকে স্বাগত সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রত্যাশায়।

অনাদিকাল থেকে সৌরজগতের নিখুঁত নিয়মে প্রতিদিন সূর্যোদয় হয়। প্রতিদিনের মতো আজও সূর্য উঠেছে। শীতের কুয়াশা সরিয়ে উঁকি দিয়েছে উজ্জ্বল রোদ। কিন্তু অন্য যে কোনো দিনের চাইতে আজকের ভোরের আলোতে যেন বেশি মায়া মাখানো। যেন নতুন স্বপ্নের কথা বলছে। বলছে, সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে দেশে, পৃথিবীময়। আশাজাগানিয়া সূর্যকিরণ যেন সে দ্যুতিই ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেকের প্রাণে, মনে।

দুপুর গড়িয়ে ধীরে ধীরে তেজোদীপ্ততা ছেড়ে মলিন হতে শুরু করেছে সূয্যিমামা। ডিমের কুসুমের মতো গোলাকার সূর্যটা দেখে মনে হতে পারে কপালজুড়ে লাল টিপ দিয়ে সেজেছে বাংলার বধূ। তবে সাজবেই বা না কেন? তার যে বিদায় নেওয়ার পালা। আর এই সূর্যাস্ত শেষে দিবাগত রাতের প্রথম প্রহরেই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসাব নিয়ে বিদায় নিল আরও একটি বছর। বিশ্বের বয়স বাড়ল আরও এক বছর। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা আর ‘হিংসা, হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতা ও যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব’ দেখার প্রত্যাশার ঝাঁপি খুলে আজ বুধবার বিশ্বময় আশা জাগানিয়া যে নতুন সূর্যটি উঠেছে, সেটি নতুন বছরের। বিদায় ঘটনাবহুল ২০২৪, স্বাগত ২০২৫ সাল। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

মানুষের মনে অজস্র প্রশ্নের সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ নতুন বছর ২০২৫। বাংলাদেশে নতুন এক ইতিহাস রচনা করে বিদায় নিয়েছে ২০২৪ সাল। নতুন বছরে মানুষের প্রত্যাশা হিংসা-হানাহানি কাটিয়ে দেশকে আবার গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসবে অন্তর্বর্তী সরকার। সহিংস রাজনীতির অশুচি কাটিয়ে অস্তাচলে গেল যে সূর্যটি, আজ পূর্বদিগন্তে শাশ্বত সেই সূর্যেরই উদয়ন হয়েছে নতুন সৌন্দর্যের আবাহন ঘটিয়ে।

দেশের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েই এবার এসেছে নতুন বছরটি। নতুন বছরে দ্রুততম সময়ে রাষ্ট্রীয় সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর সংস্কারকে ঘিরে মানুষের কৌতূহলেরও কোনো কমতি নেই। অতীতের সবকিছু পাল্টে দিয়ে সরকার থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করা, বড় বড় রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টিকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গেও সমঝোতার মাধ্যমে সৃদৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলাও নতুন বছরের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এসব নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু হলো নতুন আরও একটি বছর।

তবে নতুন বছরে সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের একটি প্রশ্ন থেকেই গেছে। আর তা হলো অনেক ঘটনার ও ইতিহাস সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর পর দেশে এবার সত্যিই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে? প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নতুন এই বছরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, নাকি আরও সময় লাগবে? নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি সময় লাগলে অন্তর্বর্তী সরকারকে কী সেই সুযোগ দেওয়া হবে, নাকি আবারও দাবি আদায়ে কেউ কেউ রাজপথ বেছে নেবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেশবাসীকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারি আমাদের মধ্যে আসে। আমরা আলোড়িত হই। আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে আমরা অঙ্গীকার করি, নতুন বছর নতুনভাবে চলতে। নতুনভাবে জীবন-যাপন করতে, নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। ব্যক্তিচরিত্র বদলেরও অঙ্গীকার করি আমরা। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়াই মানুষের সহজাত প্রবণতা। তবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বছরটি কেমন গেল, তার হিসাব-নিকাশ সবাই করে থাকেন।

বর্ষ বিদায়ের আট-দশটা বছরের মতো এক নয় ২০২৪। যুগ যুগ ধরে ২০২৪ সালটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর সাক্ষী হয়ে থাকবে। একইসঙ্গে বিদায়ী বছরটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব ইতিহাসেরও অংশ হয়ে থাকবে। ছাত্র-জনতার অদম্য লড়াই আর হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট দেশের দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

এখানেই শেষ নয়, ২০২৪ সাল বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নবীন প্রজন্ম সাহসী লড়াই করে দেশকে দীর্ঘতম শাসনের কবল থেকে ছিনিয়ে এনেছে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াই ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে সমকালীন বিশ্বের বিরল এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। জনতার এই অভ্যুত্থান গোটা বিশ্বকে অবাক করেছে, তেমনি রচিত হয়েছে প্রবল আন্দোলনের একটি অন্যরকম ইতিহাস। স্বাধীনতার পরে ২০২৪ সালে অন্যরকম এক ইতিহাসের সাক্ষী হয় বাংলাদেশ।
তবে যা-ই হোক, কালপরিক্রমায় দ্বারোদ্ঘাটন হলো নতুন বছর ২০২৫-এর। চেতনায় জাগ্রত আবহমান সেই মাঙ্গলিক বোধ-অতীতের জীর্ণতা অতিক্রান্ত দিনমাসপঞ্জির হিসাব থাক বিস্তৃতির কালগর্ভে, প্রত্যাশায় বুক বাঁধি নতুন দিনের সূর্যালোকে- তবে উদ্ভাসন হোক সজীব-সবুজ নতুনতর সেই দিনের- যা মুছে দেবে অপ্রাপ্তির বেদনা; জাগাবে নতুন প্রত্যয়ে নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবার প্রেরণা।

হাজারটা কালো মেঘের ছায়া সরিয়ে দিয়ে উঠেছে নতুন বছরের সূর্য। রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে ভয়াল যুদ্ধের দামামার মধ্যেও মাথা তুলে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে পৃথিবীর মানুষ। হয়তো মেঘ ঘনাবে আবার, তবু সাহসের পতাকা উড়াতে শিখেছে তারা। মৃত্যুর গন্ধমাখা, আতঙ্কের তীব্রতা বা ক্লান্তিভরা শিথিলতা এমন টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই সময় এসেছে নতুন বছরে শান্তিময় বিশ্ব দেখার প্রত্যাশা।
সদ্য বিদায় নেওয়া বছরকেও ভুলতে পারবে না বিশ্বের মানুষ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের অমানবিক যুদ্ধ। সারাবিশ্বই এ নিয়ে এখন নাজুক অবস্থানে। তাই নতুন বছরে বিশ্বের সব মানুষের এখন একটাই আশা- পৃথিবী থেকে দূর হোক হিংসা, হানাহানি, প্রাণঘাতী যুদ্ধ। পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাক শান্তির সুবাতাস। তাই ২০২৪-কে বিদায় জানাতে ভারাক্রান্ত হয়নি কোনো মানুষের মন। বিশ্বের মানুষ নতুন বছর ২০২৫-কে স্বাগত জানিয়েছে নতুন আশায় বুক বেঁধে।

তমসা কেটে পূর্ব দিগন্তে আবহমান সূর্য আবার শুরু করল নতুন যাত্রা। ‘সময় আর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না’- এই সত্যকে পুনর্ব্যক্ত করে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়। যুদ্ধের দামামা বন্ধ করে দিনবদলের অপরিমেয় প্রত্যাশার আলোয় উদ্ভাসিত শুভ নববর্ষ। মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেল আরেকটি বছর ২০২৪। শুরু হলো নতুন বছর ২০২৫। সুপ্রভাত বাংলাদেশ; স্বাগত ২০২৫। হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৫। অভিবাদন নতুন সৌরবর্ষকে।

গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুযায়ী ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন আজ। আজ ২০২৫ সালের প্রথম দিন। আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে/ তবু শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতোই দুঃখ, কষ্ট, ভয়-ভীতি, যুদ্ধের দামামা সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। নতুন বছরটিতে যুদ্ধের বদলে নেমে আসুক শান্তি, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর হোক। আমাদের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত প্রিয় স্বদেশ আরও সমৃদ্ধির দিকে যেন এগিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষ পালনের ধরন বাংলা নববর্ষ পালনের মতো ব্যাপক না হলেও এ উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বাংলাদেশের মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়। বিশ্বের বয়স আরও এক বছর বাড়ল। এক বছরের ‘আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্য আর সাফল্য-ব্যর্থতার পটভূমির ওপর আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই প্রিয় বাংলাদেশ নতুন বছরে পর্বতদৃঢ় একতায় বিপর্যয়-দুঃসময়কে জয় করবে অজেয়-অমিত শক্তি নিয়ে’- এ সংকল্পের সোনালি দিন আজ। আলোড়ন আর তোলপাড় করা ঘটনাবহুল ২০২৪-এর অনেক ঘটনার রেশ নিয়েই মানুষ এগিয়ে যাবে। ভাগ্যাকাশে আনন্দ-বেদনা প্রত্যাশা আর দুর্যোগের ঘনঘটা নিয়েই বাঙালির বছর ফুরাল। সূচনা হলো আরও একটি বর্ষযাত্রা।

আজ নতুন দিনের নতুন সূর্যালোকে স্নান করে সিক্ত হবে জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সব কালিমা ধুয়ে-মুছে নতুন কেতন ওড়াতে ওড়াতে এগিয়ে যাবে সময়, সভ্যতা, হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানিমুক্ত রাজনীতি, অর্থনীতি আর সংস্কৃতি। অনাবিল ও সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন আর অফুরন্ত প্রাণোন্মাদনা নিয়ে নতুন সূর্যের আলোয় অগ্রসর হবে মানুষ। বিগত সময়ের সব ভুল শুধরে নেবার সময় এসেছে আজ।
জাতির অনেক আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের বছর এটি। বাংলাদেশের মানুষও নতুন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে নতুন বছরটি শুরু করেছে। তাই নতুন বছরকে স্বাগত যুদ্ধমুক্ত সুখ-সমৃদ্ধি, উন্নয়ন-অগ্রগতি আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায়। খ্রিস্টীয় নববর্ষের প্রথম দিন আজ। প্রাচীন সূর্য মঙ্গলবার যে দিবসকে কালস্রোতে বিলীন করে পশ্চিমে অস্ত গেল, তা আজ ফেলে আসা দিন।

প্রতিবছর থার্টি ফার্স্টে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ পরমানন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। বিশ্বের মানুষ অন্যরকম আনন্দে মেতে ওঠে নতুন বছরে মাহেন্দ্রক্ষণে। বিশ্বের মানুষ নানা আয়োজনে নতুন বছর ২০২৫- কে বরণ করেছে নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে। এবার উন্নত বিশ্বও নানা ব্যাপকতা নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার পরই সারাবিশ্বে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে নানা আনুষ্ঠানিকতায়।

হিসাবের খাতায় ব্যর্থতার গ্লানি মুছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন বছরে শান্তিকামী মানুষের প্রার্থনা ছিল- আর কোনো সহিংসতা নয়, কোনো হত্যা-খুন কিংবা হানাহানির রাজনীতি নয়, ২০২৫ হবে শান্তির বীজ বপনের সাল। যুদ্ধ, অস্ত্র বা হানাহানির মহড়া হবে না, থেমে যাবে সব যুদ্ধ-সন্ত্রাস। সবার প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন যে সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে, সে সরকার উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী উন্নত বাংলাদেশ উপহার দেবে জাতিকে।
নতুন ইংরেজি বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে তাঁরা দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গোধূলি বেলায় রক্তিম সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্য দিয়ে হারিয়ে গেছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সালটি। উদিত হয়েছে নতুন বছরের নতুন সূর্য। প্রত্যাশা কেবল মানুষের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ, শান্তি, স্বস্তি, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির দেশ গড়ার। এ প্রত্যাশা রেখেই আজ বুধবার থেকে যাত্রা শুরু হলো নতুন বছরের। স্বাগত ২০২৫, বিদায় ২০২৪।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *