Home » ভোর থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

ভোর থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় শহীদ মিনারে অংশ নেবেন গেলো জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠনটির সারা দেশের নেতাকর্মীরা। আজ ভোর থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলে। হঠাৎ করে এই ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে—এসব বিষয় বুঝতে চাইছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ঘোষণাপত্রের পক্ষে–বিপক্ষে তর্কবিতর্কের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে একধরনের উত্তাপ তৈরি হয়।

এরইমধ্যে আগের দিন ঠিক রাত ৯টার কিছু পরে বদলে গেলো দৃশ্যপট। সরকার পতনের প্রায় ৫ মাসের কাছাকাছি সময়ে এসে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে, তবে কিছুদিন পরে। সরকারের এমন ঘোষণার পর সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতেই জরুরি মিটিংয়ে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ সরকার তাদের জুলাই ‘বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ গ্রহণ করেছে দাবি করে সেটিকে সমর্থন দিতে সবাইকে শহীদ মিনারে আসার আহ্বান জানান ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে।

অবশ্য এর আগেই ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা। পরে কর্মসূচি বদলে গেলেও দূরের অনেক জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা ভোরের মধ্যেই শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছে গেছেন। সকাল ৭টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। তারা খণ্ডখণ্ড জটলা বেঁধে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসগুলোকে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে (আগারগাঁও) পার্ক করার কথা জানানো হয়েছে। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এরিয়ায় কোনও বাস পার্ক করার বিষয়ে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। কেবল গণঅভ্যুত্থান আহত এবং শহীদের পরিবারদের বাসগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রাখা হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *