Home » বিপিএলে ঢাকাকে হারিয়ে শুভসূচনা রংপুর রাইডার্সের

বিপিএলে ঢাকাকে হারিয়ে শুভসূচনা রংপুর রাইডার্সের

সুপার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছে রংপুর রাইডার্স। সেই দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বিপিএলে খেলছে। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বিপিএলেও ধরে রেখেছে সোহান-মাহেদীরা। সেই সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৪০ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বিপিএল।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রংপুর। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে পারে শাকিব খানের দল। এতে ৪০ রানের জয় পায় রংপুর।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ারর প্লেতে উইকেট শূন্য থেকে ৫৮ রান তুলতে পারে ঢাকা। অষ্টম ওভারে শেখ মাহেদীর বলে ক্যাচ আউট হন তামিম। ২১ বলে ৩০ রান করে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এরপর পিচে এসেই মাহেদীকে ছক্কা মেরে চমক দেখিয়ে ছিল হাবিবুর রহমান সোহান।

কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হন এই তরুণ ব্যাটার। এক ওভার পরে আবারও বোলিংয়ে আসেন মাহেদী। এবার লিটনকে ৩১ রানে এবং ফারমানউল্লাহকে ১ রানে সাজঘরে ফেরান তিনি। এতে দলীয় ৭৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা।

ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট করতে এসে বলে বলে বাউন্ডারি মেরে আশা জাগাচ্ছিল থিসারা পেরেরা। কিন্তু ৮ বলে ১৭ রান করে ঢাকা অধিনায়ক আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। এরপর আলাউদ্দিন বাবু (১), আমির হামজা (০) এবং স্টিফেন এসকেনজি ১৭ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দান করেন।

শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন মুকিদুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম। কিন্তু মুকিদুল ১৮ রান করে আউট হন। অপর প্রান্তে ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি ঢাকার। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে পারে তারা। এতে ৪০ রানের জয় পায় রংপুর।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মাহেদী হাসান। এ ছাড়াও খুশদিল শাহ দুটি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রাকিবুল হাসান, কামরুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরেরও। দলীয় ২০ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। ৭ বলে ১৪ রান করে টেইলর আউট হলে ৬ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অ্যালেক্স হেলস।

তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন সাইফ হাসান। তাকে সঙ্গ দেন ইফতেখার। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে রংপুর। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি সাইফ। ৩৩ বলে ৪০ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।

এক রানের জন্য ফিফটি তুলতে পারেননি ইফতেখারও। ৩৮ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন খুশদিল শাহ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান। ১১ বলে ২৫ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন রংপুর অধিনায়ক।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি সাইফউদ্দিন। মুকিদুলের বলে ডাক আউট হয়ে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত খুশদিল শাহর ২৩ বলের অপরাজিত ৪৬ রানে ভর করে ১৯১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল রংপুর।

 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *