সিরিয়ায় নতুন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রিসভায় এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৪ জনের সবাই বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আল-জোলানির ঘনিষ্ঠ। এদিকে সিরিয়াকে সৌদি আরবের আদলে গড়তে চান বলে জানিয়েছেন আল-জোলানি।
বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিচ্ছে এই সরকার।
সবশেষ, অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আসাদ হাসান আল-সিবানি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মুরহাফ আবু কাসরা নিয়োগ পেয়েছেন। শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সিরিয়ার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নতুন প্রশাসন।
তবে নতুন মন্ত্রিসভায় এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৪ জনের সবাই বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আল-জোলানির ঘনিষ্ঠ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার শাসনভার এখন কার্যত বিদ্রোহীগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আল-জোলানির হাতে। তাঁকে দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসকও বলা হচ্ছে।
সিরিয়াকে আরেক সৌদি আরবে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন মোহাম্মদ আল-জোলানি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আশারক আল আওসাতকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এসময়, ইরান সিরিয়ার ভূমিকে ব্যবহার করে আরবের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছিল বলে অভিযোগ করেন জোলানি। আসাদের পতনে ইরান বিপদে পড়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা তাঁর।
এদিকে, সিরিয়ার নতুন সরকার কুর্দি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা কিছু প্রয়োজন তাই করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তুরস্ক। প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানায় তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৪০ বছর ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে কুর্দিরা। এই গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আঙ্কারা।