সহজ এবং হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হাঁটা। তবে হাঁটার রুটিনে কিছু অতিরিক্ত ক্রিয়াকলাপ যুক্ত করলে এটি হার্টের জন্য আরও বেশি উপকার বয়ে আনবে। জেনে নিন বিস্তারিত।
১। উদ্দেশ্য নিয়ে হাঁটুন
অবসর পেয়েছেন বলে কিছুক্ষণ হেঁটে নিচ্ছেন? অবসরে হাঁটা ভালো অভ্যাস, তবে হার্ট ভালো রাখতে চাইলে কিন্তু নির্দিষ্ট সময় ধরে নির্দিষ্ট গতিতে হাঁটা অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত হাঁটা হার্টকে পাম্প করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং হার্টের পেশীকে শক্তিশালী করে। ক্লিনিকাল স্টাডিজ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, প্রতিদিন মাঝারি গতিতে নির্দিষ্ট সময় হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে হাঁটতে বের হন।
২। কার্ডিও বুস্টের জন্য বিরতি যোগ করুন
দুই মিনিটের জন্য দ্রুত হাঁটুন, তারপর এক মিনিটের জন্য ধীরগতিতে হাঁটুন। এভাবে পুনরাবৃত্তি করুন। এই পদ্ধতিটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করে, ধৈর্যের উন্নতি করে এবং আরও বেশি ক্যালোরি পোড়ায়।
৩। হাঁটার সময় বাহু ব্যবহার করুন
হাঁটার সময় শরীরের উপরের অংশকে নিযুক্ত করার জন্য হালকা হাতের ওজন ধরে রাখুন। দৌড়ের মতো ভঙ্গি করে এভাবে হাঁটলে শরীরে রক্তের প্রবাহ এবং অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। হাতের নড়াচড়াও ক্যালোরি বার্ন বাড়ায় এবং পেশীগুলোকে টোন করতে সাহায্য করে।
৪। শ্বাসের ব্যায়াম যোগ করুন
হাঁটার সময় গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। চার পর্যন্ত গুনতে গুনতে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এরপর আরও দুই গোনা পর্যন্ত স্বাদ ধরে রাখুন এবং এরপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় হাঁটা হার্ট ফেইলিওর রোগীদের শারীরিক কার্যকলাপের প্রতি সহনশীলতা বাড়ায়। নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাস চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫। মানসিক চাপ কমাতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হাঁটুন
পার্কের মতো সবুজ জায়গায় হাঁটলে মন এবং শরীরের উপর শান্ত প্রভাব পড়ে। তাজা বাতাস, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং প্রকৃতির শব্দ স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে, যা হার্টে জন্য উপকারী। প্রকৃতির সান্নিধ্যে হাঁটলে মন ভালো থাকে। ফলে ভালো থাকে হার্টও।