মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিমবাজারস্থ্য দুবাই ক্লথ ষ্টোরের মালিক সেলিম আহমদের শ্বশুরবাড়ি শহরের বনবীথি এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ।’
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ৩০ জুন রাতে পরিচালিত এ অভিযানে ৭ বস্তা সরকারি চাল পাওয়া যায়। এ চাল কার ? পুলিশের এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান সেলিম আহমদের শ্বশুর, শাশুরী ও শ্যালিকা জানায়- এ চাল সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। তারা তখন বাসায় ছিলেন না। কে বা কারা এ চালগুলো তাদের বাসায় রেখে গেছে। চালের বস্তাগুলো উল্টো করে বাহিরদিক ভিতরে দিয়ে মুখ বাধা ছিল।” পুলিশ অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে তারা তা দেননি।’
‘ এসময় পুলিশ এ চালগুলো সরকারি চাল মর্মে নিশ্চিত হয়। এর আধা ঘন্টার মধ্যেই একজন সহযোগীসহ চেয়ারম্যান সেলিম ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে কাগজ প্রদর্শন করে বলেন- এগুলো কাবিখার চাল। এ চাল আমি বিক্রিসহ যা ইচ্ছা তা করতে পারি। আমার শ্বশুরের বাসায় চাল কিনে খান। তাই, আমার শাশুরী ও বাসার লোকদের সাথে আলাপ করেই এ চাল তাদের কাছে বিক্রি করেছি।’
‘শ্বশুরের বাসার লোকজন ও চেয়ারম্যানের কথাবার্তার মধ্যে গড়মিল প্রতীয়মান হলে পুলিশ চালের বস্তাগুলা জব্দ করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় নিয়ে যায়। এরপর চেয়ারম্যানের নিজ বাসা দক্ষিণ কলিমাবাদ এলাকার ‘জুমাপুর হাউসে’ তল্লাশী চালায় পুলিশ। তবে সে বাসায় কোন চাল পাওয়া যায়নি। অভিযানটি পরিচালনা করে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই তাপসের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একদল সাদা পোষাকদারী পুলিশ।’
‘এলাকাবাসী জানায়- গত ২৮ জুন সন্ধ্যার পর সেলিম চেয়ারম্যান নিজে ১২-১৪ বস্তা চাল শ্বশুরের বাসায় দিয়ে যান। এর আগেও তিনি এভাবে চালের বস্তা শ্বশুরের বাসায় দিয়ে গেছেন।’