মানিকগঞ্জের শিবালয়ে রুস্তম আলী হাওলাদার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়। প্রথমদিকে বিদ্যালয়টি একাংশ ভেঙ্গে গেলেও গত ২২ জুন পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিলীন হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।’
‘চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য তিনতলা বিশিষ্ট স্কুল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরাা এ বিদ্যালয়টি থেকে শিক্ষার আলো পাচ্ছিল। বিদ্যালয়টি বিলীন হওয়ায় শিক্ষা জীবন শেষ হওয়া নিয়ে শংকায় পড়েছেন অভিভাবকরা।’
‘সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি নির্মাণের স্থাণ নির্ণয়ের সময় স্থানীয়দের মধ্যে পক্ষপাতিত্ত্বও ছিল। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তেই নদীর তীরবর্তী এলাকায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল এই বিদ্যালয় ভবনটি। বিদ্যালয়ের ভবনটি রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কয়েকবার চিঠিও দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষায় কোনও পদক্ষেপ নেয়নি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।’
‘বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মরিয়ম বেগম জানান, এ এলাকার শিক্ষারমান উন্নয়নের জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যালয়টি বেশি দিন থাকলো না বিলীন হয়ে গেলো যমুনার গর্ভে। কিছুদিন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হবে। তবে নতুন করে আরেকটি বিদ্যালয় নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।’
‘তেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা এসে সরেজমিনে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না বিদ্যালয়টির।’
‘শিবালয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক জানান, বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
‘যে কোন সময় ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এমন একটি প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছিল।’
‘যমুনা নদীর ভাঙনের যে তীব্রতা ছিলো তাতে এতো অল্প সময়ে মধ্যে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা দুষ্কর ছিলো।’
‘ এই কারণে স্কুলটি রক্ষায় জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমন মন্তব্য করেন মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মামুন হাওলাদার।’