হোয়াইওয়াশ এড়ানোর মিশনে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি পেল না। আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে না পারায় ৭ উইকেটে বাংলাদেশের রান কেবল ১২৩। ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ডের সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে একই লজ্জায় ডুবিয়ে বদলা নিল আইরিশরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। সেই সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয় সিরিজও।
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। সিলেটের মন্থর উইকেটে এটি কঠিন লক্ষ্যই। কিন্তু লাউরা ডেলানি সেই কাজ সহজ বানালেন স্বর্ণা আক্তারের করা শেষ ওভারে তিন চার মেরে। ফলে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়ে ফেলা বাংলাদেশ পুড়ল হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সোবহানা মোস্তারি ও মুর্শিদা খাতুন মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। ১২ বলে ১২ রান করে মুর্শিদা আউট হলেও শারমিন আখতার ও সোবহানা মিলে দলের সংগ্রহ ১০০ পার করেন। ১৪তম ওভারে শারমিনা যখন ফেরেন তার নামের পাশে তখন ৩৩ বলে ৩৪ রান। সেখান থেকেই বিপর্যয়ের শুরু। রানের গতিও যায় থমকে।
১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সোবহানা বিদায় নিলে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার। সোবহানা ৪৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। এরপর আর কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। এর মধ্যে ১৮তম ওভারে ২টি ও শেষ ওভারে ২টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বল হাতে আয়ারল্যান্ডের ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এমি ম্যাগুইয়ার।
জবাব দিতে নেমে প্রথম উইকেট জুটিতেই ৫৫ রান তুলে ফেলে আয়ারল্যান্ড। ৭.৪ ওভারে জান্নাতুল ফেসদৌসের বলে বোল্ড হয়ে ওপেনার অ্যামি হান্টার (২৮) বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় তারা। এরপর ৭০ রান পর্যন্ত যেতেই আরও ৩ উইকেট হারায় তারা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আয়ারল্যান্ড পঞ্চম উইকেট হারানো পর্যন্তও ম্যাচে বাংলাদেশ ভালোভাবেই টিকে ছিল। কিন্তু শেষদিকে ডেলানি একাই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন। ৩১ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বল হাতে বাংলাদেশের রাবেয়া খাতুন ২টি উইকেট নেন।