অনলাইন সংস্করণ:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মঙ্গলবার মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন। তিনি ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা কঠোর পরিশ্রম ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কান্ডারী হতে প্রস্তুত হয়েছেন। এই জ্ঞান আপনাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সফলতা অর্জনে সহায়তা করবে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির মূল চাবিকাঠি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা এবং দেশপ্রেম। এই গুণাবলীকে আত্মস্থ করে ক্যাডেটরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, মৎস্য সম্পদ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই একাডেমিকে যুগোপযোগী মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে যোগদান করে আপনারা আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করবেন এবং সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্যে অবদান রাখবেন।”
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ক্যাডেটদের মধ্যে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ পদক বিতরণ করেন। মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার ‘বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল’ এবং নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ক্যাডেট শারমিন সুলতানা ‘বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল’সহ আরও অনেকে পুরস্কৃত হন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, বিএফডিএ’র চেয়ারম্যান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট, ন্যশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি