Home » স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, চাচাসহ আটক ৩

স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, চাচাসহ আটক ৩

সিলেটের বিশ্বনাথে রাহী আহমদ সাইম (১৭) নামের একস্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সে বিশ্বনাথ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে এবং অলংকারী ইউনিয়নের সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বুধবার রাত ৯টায় তার চাচা তাহির মিয়ার বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ওড়না পেছানো সাইমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দ্রুত উপজেলা সদরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা পুলিশ। তবে এটি আত্মহত্যা না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় সাইমের চাচা তাহির মিয়া, তার স্ত্রী রুবেনা বেগম ও বোন নিলুফা বেগমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা) তারা পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহির মিয়া স্কুল ছাত্র সাইমের চাচা (পিতার চাচাতো ভাই) হওয়ার সুবাদে তাদের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। সহযোগিতা করতেন সাংসারিক কাজেও। ঘটনার দিন বিকেলে তাকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী নিজেদের পুরাতনবাড়িতে (সাইমদের বাড়ি) বেড়াতে যান তার চাচী রুবেনা বেগম। ওই সময় উপজেলা সদরে নিজের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন চাচা তাহির মিয়া। পরে রাত সাড়ে ৯টায় গৃহকর্ত্রী বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির গেট তালাবদ্ধ। ডাকাডাকি করে ভেতরে সাইমের কোন সাড়া না পেয়ে তিনি তাহির মিয়াকে বিষয়টি ফোনে অবগত করেন। পরে তাহির মিয়াসহ সাইমের মায়ের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে বসত ঘরে প্রবেশ করেন তারা এবং একটি বেডরুমে সিলিং ফ্যানের রডের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

সাইমের মা রত্মা বেগম এ অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ওরা (তাহির মিয়ারা) মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে বিশ্বনাথ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইমের চাচা তাহির মিয়া, তার স্ত্রী ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতুর সঠিক কারণ বের করতে ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রির্পোটের আলোকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *