ইসরায়েল ও লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর চারটায় এই চুক্তি কার্যকর হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তি উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও লেবাননের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন নিশ্চিত করেন যে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় যুদ্ধ বন্ধ হবে।
গত বছর গাজার যুদ্ধের রেশ ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। এতে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। চুক্তির মাধ্যমে সংঘাতের অবসান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাইডেন বলেন, স্থায়ীভাবে শত্রুতা নিরসনের পরিকল্পনায় এই চুক্তি করা হয়েছে। হিজবুল্লাহসহ অন্য কোনো সশস্ত্র সংগঠন ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে আর হুমকির মুখে ফেলতে পারবে না।
তিনি আরও জানান, ৬০ দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল। একইসঙ্গে লেবাননের সেনাবাহিনী সীমান্ত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে যাতে হিজবুল্লাহ তাদের দল পুনর্গঠন করতে না পারে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ। তবে দলটির শীর্ষ কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ বলেছেন, লেবাননের রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে যুদ্ধের কারণে আমাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, তিনি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে প্রস্তুত তবে হিজবুল্লাহ চুক্তি লঙ্ঘন করলে যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই চুক্তিকে একটি সফল পরিণতি বলে উল্লেখ করেছেন। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মিকাতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদাল্লাহ বো হাবিব জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবাননে অন্তত ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরান, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইয়েমেনের হুথিদের থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।