বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত কাজলকে নিয়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রবিবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একটি চার্টার্ড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।
এর আগে জানানো হয়, সরকারি খরচে তাকে বহন করার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
গত ৫ জুলাই পুলিশের গুলিতে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান কাজল। পরে নেওয়া হয় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে। তিন মাস ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানান, কাজলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তিন দিন আগে হঠাৎ সংক্রমণ দেখা দেয়। বেশ কয়েকবার তার ডায়রিয়া হয়। এতে রক্তচাপ কমে গিয়ে তিনি শকে চলে যান। বোর্ড সভায় বসেন চিকিৎসকরা। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার অনুরোধে হাসপাতালে তাকে দেখতে আসেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পরে দ্রুত কাজলকে থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। চিকিৎসার খরচ ও ভিসার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন নাহিদ ইসলাম। এরপর কাজলকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ড নেওয়ার কথা জানান তিনি।