সিলেট-১ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আবদুল মোমেন (৬০) ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেনসহ (৫০) ২১৩জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৫৩ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০/৬০ জনকে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের জালালপুরের সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তফুর আলীর ছেলে মো. আলাল মিয়া।
১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ দণ্ডবিধির ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় এ মামলাটি রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।
মামলায় মোমেন দম্পতি ছাড়াও এজাহারনামীয় অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান (৪২), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খান, সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হেলেন আহমদ (৪০), আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শফিউল আলম জুয়েল (৪০), সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন (৬০), মহানগর ছাত্রলীগ নেত্রী জামান্তি গোয়ালা (২৪), মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক রাহাত হোসেন চৌধুরী রাজু (২০), কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান (৫০), উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইক আহমদ (৪০), উপজেলা উলামালীগ নেতা হাফিজ আব্দুল মতিন (৪৮), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন (৩৫), এস এম শওকত আমীন তৌহিদ (৪৬), মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল (৫৭), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৬১), সাতভাগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সুবহান (৫২), মহানগর বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছুরত আলী (৪৬), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারওয়ার হোসেন চৌধুরী (৩৩), গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের গোলাপ মিয়া (৫৫), জেলা উলামালীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ উদ্দন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী (৫৫), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমদ (৫২), সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার (৩৮), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ (৪০), জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শহিদুল ইসলাম জাবেদ (৪৫), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সুবাস দাস (৪৫), দিব্য জ্যোতি সী (৩০), শাকিল জামান (৩৫), সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক (৫০), সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরন মিয়া (৬০), সিলেট মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন চৌধুরী (৬০), সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন (৬০), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী (৬৫), ৭নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার নাজু (৩৭), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই খছরু (৫২), তেতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বেলায়েত (৩০), উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও মাইজগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু (৫০), বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল হক টনি (৪৫), বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রানা (২৭) প্রমুখ।
মামলার এজাহারের ভাষ্যমতে, ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেট মিরবক্সটুলায় খায়রুন ভবনের সামনে রাস্তায় অবস্থান নেওয়া ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান রামদা ছিটা, গুলি চাইনিজ কুরাল ককটেল পেট্রোল বোমা সাউন্ড গ্রেনেডসহ মারাতত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।আন্দোলনকারীদের মারপিট করে ককটেল বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, পেট্রোল বোমার বিস্ফেরণ ঘটায়। এ সময় বাদি পেশাগত কাজ শেষে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় লোকজন উদ্ধার করে বাদিকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।