ডেস্ক নিউজ: ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপে সবশেষ গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। ৮০ বছর পর আবার সেই লজ্জা পেতে হলো ৮টি ফাইনাল খেলা দলকে। এনিয়ে টানা তিন আসরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ছিটকে গেল গ্রুপ পর্বেই। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবচেয়ে সফল দল ছিল জার্মানি, ১০ ম্যাচের সবগুলো জিতেছিল তারা। এমন অর্জন তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদেরই মানায়। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর আগে তাদের সময়টা বাজে কেটেছিল। ৬ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতে রাশিয়ায় গিয়েছিল তারা। ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বড় মঞ্চে। মেক্সিকোর কাছে হারের পর সুইডেনের সঙ্গে জিতলেও বুধবার কাজান অ্যারেনায় দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিলো তারা। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার গ্রুপের দুই ম্যাচ হারল জার্মানরা। এতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে সবার শেষ দল তারা। আর সুইডেন ৬ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। সমান পয়েন্টে রানার্সআপ মেক্সিকো। বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জিততেই হতো জার্মানিকে। তাছাড়া ড্র করলেও চলতো, কিন্তু তাকিয়ে থাকতে হতো মেক্সিকো ও সুইডেনের ম্যাচের দিকে। তবে কোনও দিক দিয়ে তাদের জন্য ভালো কিছু হলো না। এক পয়েন্ট আদায় তো দূরের কথা, দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে দুই গোল হজম করল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। একের পর এক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হলো তাদের। প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করায় পিছিয়ে ছিল জার্মানরা। দক্ষিণ কোরিয়ার গোছালো রক্ষণভাগের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। ১১ মিনিটে ডান দিকে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি কিক পেয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টনি ক্রুসের বাঁকানো কিক প্রতিহত করে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। ১৯ মিনিটে জার্মান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের কঠিন পরীক্ষা নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। জুংয়ের ফ্রি কিক থেকে সন হিউং-মিনের শট কোনোভাবে পাঞ্চ করে ঠেকান গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লোভ জয়ী। ৫ মিনিট পর দ্বিতীয় সুযোগ পায় কোরিয়ানরা। গোলমুখের সামনে থেকে সনের শট এবার গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৩৯ মিনিটে জার্মানির চেষ্টা আবার রুখে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক। কর্নার থেকে বল পায়ে পেয়ে হামেলস লক্ষ্যে শট নেন, সেটা ঠেকান চো হিউন-উ। বিরতির দুই মিনিট আগে টিমো বার্নারের শট পোস্টে আঘাত করে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতি থেকে ফিরে আবারও জার্মানদের রুখে দেন চো। ৪৭ মিনিটে গোরেৎকাকে এবার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান কোরিয়ান গোলরক্ষক। ওজিলের কর্নার থেকে বার্নারের দুর্বল স্ট্রাইক গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায় ৬৪ মিনিটে। চার মিনিট পর মারিও গোমেসের হেড ঠেকান চো। ৭৯ মিনিটে কিমিখকে ব্যর্থ হতে হয়। বক্সের বাইরে থেকে ক্রুসের ৮৪ মিনিটে নেওয়া শট গোলবারের উপর দিয়ে যায়। ৮৭ মিনিটে ওজিলের ক্রস গোলমুখের সামনে থেকেও কাজে লাগাতে পারেননি গোমেস। হেড করতে চেয়েও পারেননি তিনি, বল কাঁধে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে ক্রুসের নিচু দুর্বল শট আটকাতে বেশি কষ্ট হয়নি চোর।
জার্মানিকে বড় ধাক্কা খেতে হয় ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে। কিম ইয়ং-গোনের বল জড়ান জার্মানদের জালে। অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রথমে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিতে দেখা গেছে সুলের পা স্পর্শ করে কিমের পায়ে এসেছিল বল। ঘুরে দাঁড়াতে অলৌকিক কিছু করার দরকার ছিল জার্মানির। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি, উল্টো তাদের ফাঁকা জালে বল পাঠান সন। জুর বাড়ানো বল পায়ে পান তিনি, নয়ার তাকে আটকাতে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন। ততক্ষণে সন কোনও বাধা ছাড়া ঢুকে যান জার্মানির বক্সে, তারপর ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন।This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.