সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যাপ্রচেষ্টা ও বিষ্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নবীগঞ্জের বাঘাউড়া এলাকার মো. শফিক মিয়ার ছেলে ও নগরীর জিন্দাবারের বাসিন্দা মো. রাজন মিয়া বাদি হয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীহ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, তার ছেলে ছাব্বির মুমিন, সাবেক আইমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ ৭৭জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১০০/১৫০জনকে।
মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক । তিনি জানান,১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ দণ্ডবিধির ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, নবীগঞ্জ পৌর যুবলীগ সভাপতি দেলোওয়ার হোসেন, সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সুবাস দাস, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হাই সাধন, যুবলীগ নেতা খন্দকার আসিফ হাসান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মুকিত চৌধুরী, যুবলীগ ক্যাডার সায়েদুল আরফিন রিয়াদ, সিলেট জেলা বাস্তুহারালীগের প্রচার সম্পাদক ফখরুল ইসলাম চুর ফখই, সিলেট মহানগর হকার্স লীগ সভাপতি রকিব আলীর স্ত্রী ও যুব মহিলালীগ নেত্রী জাহানারা বেগম, মাহবুব হোসেন খাঁন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আহমদ (৪২), ইউসুফ মিয়া, হেদায়েত হোসেন খোকন, শাহজাহান মিয়া, আব্দুল হান্নান, রুমন আহমদ, মুহিবুর রহমান চৌধুরী, মোক্তার খাঁন, লোকমান আহমেদ রাজু, ছিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল কালাম, নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফয়ছল আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ আলী সুমেল, বড়লেখা উপজেলা যুবলীগ নেতা ইমাম উদ্দিন হিফজুর উরফে টাউট হিফজুর, মহিলালীগ নেত্রী সানজিদা আক্তার, যুবলীগের জুমায়েল ইসলাম চৌধুরী, আশরাফ সিদ্দিকী সোহেল, এম এ রশিদ উরফে আব্দুর রশিদ, পারভেজ আহমদ, মো. জাকির হোসেন, আব্দুল মালিক, লোকমান হোসেন, ফরিদ আহমদ, বেলাল আহমদ, হুমায়ুন কবির উরফে বন্দুক কাবর, খালেদুল ইসলাম, জবং মিয়া’ তালুকদার, আব্দুল সালাম শাহীন, উছমান আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, রুবেল আহমদ, ইফতি চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মকবুল, কেন্দ্রীয় তাতী লীগ নেতা কালাম আহমদ, ৭নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার নাজু, যুবলীগের আব্দুল করিম, মাহবুব হোসেন ফারুক, আরিফুল হোসেন,কয়েল আহমদ, কাকলী আক্তার, আহমদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী, মহিলা লীগের বাবলী বেগম চৌধুরী, বেলাল আহমদ, ছাত্রলীগের সৈকত ধর, যুবলীগের আব্দুল তাহিদ, আব্দুর নূর, মো. আমজাদ আলী, মো. তেরাব আলী ও মো. কুয়াজ আলী।
মামলার এজাহার মতে ৩ আগস্ট বিকেল ৩টায় নগরীর চৌহাট্টার আলিয়া মাদরাসা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আসামিরা সশস্ত্র হামলা চালায়। বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করা হয়। এসময় বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।