ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেলসহ তার বাহিনীর ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেট নগরী, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ সদস্যরা।
শুক্রবার রাতে র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব জানায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পটিতে গ্যাং কালচার চালু করে। জেনেভা ক্যাম্পে ‘চুয়া সেলিম’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই মাদক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি সংঘাতে উভয় পক্ষকে এসব অস্ত্র হাতে মহড়া ও গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। গত দুই মাসে গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত ও একশ’র বেশি আহত হয়েছেন। মাদক সম্রাট বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, খুন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮টি মামলা রয়েছে বলে র্যাব জানায়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে র্যাব-৯ ও র্যাব-২ যৌথ অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা মাদক সম্রাট সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল (৩০), আমির হোসেন হিরা (৩৬), আনোয়ার হোসেন (২৭), জামাল হোসেন (২৯), মোছা. শাহিনুরকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।
একই দিন বেলা ২টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্স এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর অভিযান চালিয়ে বুনিয়া সোহলে গ্রুপের আরও ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন জেনেভা ক্যাম্পের নুরী বেগম (৩০), মিঠুন (২৪), সাহিল (৩৮), নাঈম (২৪), মো. আজিম (৩৭), বানু বেগম (৫০) ও সাবিক হাসান (২০)।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই বাহিনীর আরও ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা আমিন (২৮), ইকবাল (৩৮) ও আসিফ মিয়া (৩৭)।
গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীদের ঢাকাস্থ র্যাব-২ এর কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব-৯ সিলেট কর্তৃপক্ষ।