কাঁচাবাজারে শুক্রবার (১লা নভেম্বর) থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিনের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধেও চলবে অভিযান। ১লা অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। বেশিরভাগ সুপারশপে এখন পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি পরিবেশের কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কাঁচাবাজারগুলো যেন আর পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না করে, সেজন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। নতুন করে নিষেধ করার কিছু নেই। ২০০২ সাল থেকে আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে। তিনি বলেন, ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত সফলভাবেই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। পলিথিন উৎপাদনকারী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু মার্কেটে কখনো অভিযান চালানো হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, ১লা অক্টোবর থেকে ঢাকার সুপারশপগুলোতে প্লাস্টিক ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ আর ব্যবহার করা যাবে না। এটি সরকারের একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এটি সুপারশপগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা হবে।
সভায় ১লা নভেম্বর থেকে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের বিষয়েও বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাজারে পলিথিন নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি। উপদেষ্টা সেদিন বলেন, দোকান-মালিক সমিতির নেতারা কথা দিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে তারা পলিথিনের পরিবর্তে পাট, কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করবেন।
১লা নভেম্বর থেকে পলিথিন যারা উৎপাদন করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। পলিথিনের বিকল্প সরবরাহের জন্য কাজ চলছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
প্রতিনিধি