মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে আরাকান আর্মি ও সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর লড়াইয়ে বিকট বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বিকট শব্দ পান।
গত বৃহস্পতিবার সারা দিন মংডুতে মর্টার শেলের গোলাবর্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান থেকেও বোমা ফেলা হয়। পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার কোনো ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি।
এরপর আজ (রোববার) ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ও সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জনপ্রতিনিধিরা জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসায় সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্যে আছেন। এ ছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকাশে যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা গেছে বলেও জানান তারা।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা আট মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে আরাকান আর্মি মংডু শহরের আশপাশে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) বেশ কিছু সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর রোববার ভোর থেকে সীমান্তে আবার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।