সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম। ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২১ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর-৬ থেকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে, ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন হৃদয়। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি, তবে পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন।