সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে (৫৩) প্রধান আসামি করে ১৯৪ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।মামলার বাদি নগরীর চারাদিঘীরপাড় ৬৩ আল আমিন আবাসিক এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে ইকবাল হুসেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) জালালাবাদ থানায় দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩০৭/১১৪ পেনালকোড ১৮৬০তৎসহ ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৩/৪ ধারায় এ মামলাটি (নং ০৭ (১০)২০২৪) রুজু হয়।
মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।
মামলায় ৪৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
নাসির খান ছাড়াও মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন সিলেট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মারিয়ান চৌধুরী মাম্মি (৪০) হাসিনা খাতুন (৩৫), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুজিবুর রহমান উরফে বিপ্লবী মুজিব (৫০), সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল হুসেন খান কামরান (৪০), সিলেট জেলা যুবলীগের মহিলা সম্পাদক বিউটি বেগম তামান্না (২৫), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল (৫০), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান (৫২), খালেদ মিয়া (৩৫), আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ (৫৭), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী (৫০), আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ঘিলাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল লেইছ চৌধুরী (৫৫), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিলার মখলিছুর রহমান কামরান (৫০),মহানগর শ্রমিকলীগ নেতা খন্দকার ফায়েকুজ্জামান (ফায়েক মাষ্টার) (৫৫), আব্দুল হামিদ (বাট্টি হামিদ) (৫০) মহানগর আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হামিদ (বাট্টি হামিদ) (৫০), ছাত্রলীগের হোসেন ওরফে পিচ্চি হুসাইন (২৩), ছড়ারপারের কালাম আহমদ (৩০), মো. শাহাব উদ্দিন তফাদার (৫০), গোয়াইপাড়ার মুহিত আহমদ (৩৮), বরইকান্দির মো. ওসমান আলী (৩৫), সাজ্জাদুর রহমান সাজু (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন (৫৫), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক (৬০), চৌকিদেখির হায়দার বক্ত ফারুক ওরফে টেরা ফারুক (৫৫), ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা নুরানি হামিদ (৫৫), বাদামবাগিচার আফছর মিয়া (৩৫), কানিশাইলের আজমল হুসেন অপু (৩০), দর্শনদেউড়ির যুবলীগ ক্যাডার বেলাল খান (৪৫), কুয়ারপাড়ের সামির আহমদ (৩৫), ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন খান (৪৮), জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল,
লাক্কাতুরা চা বাগানের রাজু গোয়ালা (৫০) ও রঞ্জন লোহার (৪০), ছাতকের শিমুলতলার নুরুল হক (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা হারুন হেলাল চৌধুরী (৫৫), মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম (৫০), মুশাহিদ আলী (৫০), যুবলীগ নেতা মো. আব্দুস শহিদ (৩০), চারাদিঘীরের ছাত্রলীগ ক্যাডার সালমান আহমদ (২৫) ও ১৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন (২০)।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ১৯ জুলাই রাত ৯টা দিকে জালালাবাদ থানাধীন মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেন।এ সময় আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় সুবিদবাজার থেকে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে।এতে তাঁর শরীরে গুলি লাগে।পরে আসামিরা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আখালিয়ার দিকে চলে যায়।ঘটনার দুইদিন পর ১৯ জুলাই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
তার শরীরে গুলি রয়েছে বলেও দাবি করেন বাদী।