Home » ফল সংস্কারের দাবিতে সচিবালয়ে এইচএসসির ফেল করা শিক্ষার্থীরা

ফল সংস্কারের দাবিতে সচিবালয়ে এইচএসসির ফেল করা শিক্ষার্থীরা

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা পুনরায় ফল প্রকাশ এবং ফলের ত্রুটি সংশোধনের দাবিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছে শতাধিক শিক্ষার্থী৷

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে এসব শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে প্রবেশ করে তারা।

এসব শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকে— আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মুগ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই, তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নের দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা প্রথমে অনুরোধ করলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যায়৷ এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা৷

সচিবালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্লোগান বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা ফল বাতিল করে পুনরায় ফল তৈরি ও প্রকাশের দাবিতে আন্দোলন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। ওইদিন তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। আর অটো পাস ঘোষণা না দিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানায় পরীক্ষার্থীরা। পরে অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো আর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়।

গত ১৫ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হয়। এবার পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এরমধ্যে অকৃতকার্য হয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪৯ জন পরীক্ষার্থী। সাবজেক্ট ম্যাপিয়ে সব বিষয় পাস করলেও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয় এসব পরীক্ষার্থী।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *