Home » নিখোঁজের দু’দিন পর ঢামেকে মিলল নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের লাশ

নিখোঁজের দু’দিন পর ঢামেকে মিলল নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের লাশ

 

নিখোঁজের দুই দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাওয়া গেল নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের লাশ। রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশ তার লাশ সনাক্ত করে। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন তাঁর সহকর্মীরা।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের লাশ রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।’

নিহতের পরিবার ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি ফি অতিরিক্ত আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানকে দেড় ঘণ্টা কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও শিক্ষকেরা তালা খুলে তাঁকে মুক্ত করে। এ সময় রোববার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। শুক্রবার সকালে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের বাসা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোনের বাসার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার বিকেলে মো. ফজলুর রহমানের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জহির নামে জনৈক ব্যক্তি ফজলুর রহমানকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থান রোববার সকাল ৭টায় মারা যান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নেশা জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে। শাহবাগ থানা-পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

অধ্যক্ষের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার বলেন, শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রোববার সকালে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের বিষয়টি জানাই। পরে নিখোঁজের বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কলেজছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে মানসিক অস্থিরতায় ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফজলুর রহমান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ কলেজ অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যোগদান করেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *