ট্রাকটির এক পাশে বালু, আরেক পাশে পাথর; নিচে ছিল চোরাই চিনির বস্তা। চেকপোস্টে ট্রাকটি আটক করে তল্লাশি চালিয়ে ২৮১ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় দুই বাহককে।
শাহপরাণ থানা পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে এভাবেই চোরাই চিনি জব্দ এবং জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে।শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এসএমপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হচ্ছেন আল মামুন সাদ্দাম (৩৪) ও রাকিব হোসেন (১৯)।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেনের তদারকিতে এসআই আসলম আহমদের নেতৃত্বে দিবাকালীন পুলিশ টহল দলের কাছে চোরাই চিনি পাচারের একটি খবর আসে। পুলিশ দল তখন শাহপরাণ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় সিলেট-তামাবিল বাইপাস সড়কের সিলেট ক্যান্টনমেন্টের সামনে চেকপোস্ট স্থাপন করে। এ সময় সিলেট নগরীর দিকে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। চেকপোস্টে গিয়ে থামলে ট্রাক থেকে জানানো হয়, বালু ও পাথরের ট্রাক। পুলিশ সন্দেহবশত ট্রাকটি তল্লাশি করলে বালু ও পাথরের স্তরে ত্রিপলের নিচে সাদা পলিথিন দিয়ে ঢাকা ২৮১ বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। প্রতিটি বস্তায় ৪৯ কেজি করে মোট ১৩ হাজার ৭৬৯ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ ৫২ হাজার ২৮০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫ টনের ট্রাকটির মূল্য ২৫ লাখ টাকা দেখিয়ে চোরাই চিনি জব্দ তালিকায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই আসলম আহমদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।