ডেস্ক নিউজ:
সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৬টায় খেলা শুরু হবে। কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়ামে রাত ১২টায় গ্রুপের অপর খেলায় সুইসদের চ্যালেঞ্জ জানাবে সার্বিয়া। স্বরূপে ফিরতে কোস্টারিকা ম্যাচকে পাখির চোখ করছেন ব্রাজিল কোচ লিওনার্দো বাচ্চি তিতের শিষ্যরা। দলের সবাই সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ঢেলে দেবে বলে আশাবাদী নেইমার। সুইজারল্যান্ড ম্যাচের হতাশা ভুলে কোস্টারিকার বিপক্ষে পারফরম্যান্সের উন্নতি দেখছেন ব্রাজিলিয়ান আইকন। নেইমার বলেন, ‘আশা করছি আমরা সুইজারল্যান্ড ম্যাচের চেয়ে ভালো করবো। আমরা এই ম্যাচটা জিততে চাই। যার যার সেরা পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে হবে। আমরা কোস্টারিকার খেলার ভিভিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছি। তবে মাঠে ভালো ফুটবল খেলাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার কাছে ১-০ হার মানে মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টারিকা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে তাদেরও জয়ের বিকল্প নেই। চার বছর আগে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য পায় কোস্টারিকা। ২০১৪ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হার মানে তারা। কোস্টারিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রাজিলের জন্য স্বস্তির খবর নেইমারের অনুশীলনে ফেরা। গত রোববার সুইজারল্যান্ড ম্যাচে ১০ বার ফাউলের শিকার হন নেইমার। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর আর কোনো খেলোয়াড়কে এতবার ট্যাকল করতে দেখা যায়নি। সেবার তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ১১ বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার অ্যালান শেয়ারার। সুইজারল্যান্ড ম্যাচের পরদিন অনুশীলন করেননি নেইমার। গোড়ালিতে অস্বস্তি বোধ করায় মঙ্গলবার অনুশীলন থেকে উঠে যান। এ নিয়ে তৈরি হয় নানা জল্পনা। নেইমারের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে বুধবার যথারীতি অনুশীলনে ফেরেন নেইমার। দলের সঙ্গে নিজস্ব ছন্দে অনুশীলনও করেন। এদিন ব্রাজিলের অনুশীলনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না। তবে জানা যাচ্ছে, প্রথম দলের সঙ্গে নীল রঙের ভেস্ট পরে স্বাভাবিকভাবেই অনুশীলন করেছেন নেইমার। আর গতকাল নেইমারের অনুশীলনের ভিডিও টুইটারে তুলে দিয়ে ব্রাজিলিয়ার ফুটবল কনফেডারেশন বার্তায় লেখে, দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য পুস্তুতি চলছে তার (নেইমার)। আশা করছি কোস্টারিকার বিপক্ষে তাকে মাঠে দেখতে পাবো। মার্চের শুরুতে পিএসজি তারকা নেইমারের ডান পায়ের পাতার হাড়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। নিজেদের সবশেষ ১৩টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অপরাজিত ব্রাজিল। আগামী ২৭শে জুন গ্রুপের শেষ ম্যাচে সার্বিয়াকে মোকাবিলা করবে তিতের দল। কোস্টারিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে যোজন যোজন এগিয়ে সেলেকাওরা। ১০ বারের সাক্ষাতে ৯ ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
কোস্টারিকার একমাত্র জয়টি আসে ১৯৬০ সালের প্রীতি ম্যাচে। বিশ্বকাপে তৃতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও কোস্টারিকা। এর আগে ১৯৯০ ও ২০০২ আসরের গ্রুপ পর্বে দেখা হয় দুই দলের। যথাক্রমে ১-০ ও ৫-২ গোলের জয় তুলে নেয় ব্রাজিল।
বার্তা বিভাগ প্রধান