দুই বছর আগে বিএনপি কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অভিনেত্রী তারানা হালিম, সাবেক সংসদ সদস্য সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ বেগম, অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে বাদী সৈয়দ হাসান মাহমুদ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশীদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায় -১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন সৈয়দ হাসান মাহমুদ। আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে নথিভূক্ত করার আদেশ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
২০১৯ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিএনপির দলীয় সমার্থন প্রত্যাশী ছিলেন সৈয়দ হাসান মাহমুদ। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করলে এজাহারভূক্ত আসামিদের মদদে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে প্রচারণা বন্ধ করে দেয়। পরে ২০২২ সালের ২৫ জুন সন্ধ্যায় রামপুরা ব্রীজ থেকে সৈয়দ হাসান মাহমুদকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে ২৯ জুন হাতিরঝিলে তাঁকে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।