Home » ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ শান্তদের

ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ শান্তদের

ভারতের এই দলটা নতুন। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলটির প্রায় কেউই নেই। অভিজ্ঞতার দিক থেকে (খেলোয়াড়দের ম্যাচসংখ্যা বিবেচনায়) ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। ভারত স্কোয়াডের অভিজ্ঞতায় ৩৮৯ ম্যাচ, আর সেখানে বাংলাদেশ স্কোয়াডের ঝুলিতে ৬৪৪ ম্যাচ। বাস্তবে প্রায় দ্বিগুণ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ টাইগাররা দেখাতে পারেননি ভারতের অর্ধেক দৃঢ়তাও। একপেশে ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে সূর্যকুমার যাদবরা। আর এই জয়ে চলতি তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।

রোববার গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি শান্ত ব্রিগেড। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯.৫ ওভারে মাত্র ১২৭ রান তুলতেই দম ফুরিয়ে যায় টাইগারদের। ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়া অধিনায়ক শান্ত ২৭ রান সংগ্রহ করে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান। বাংলাদেশ ইনিংসে ছয়জন ব্যাটার পাননি দুই অঙ্কের ঘরের নাগাল।

বাংলাদেশের ব্যাটিং এককথায় হরর শো। প্রথম দুই ওভারে বিদায় নেন দুই ওপেনার। চার হাঁকিয়ে শুরু করা লিটন দাস হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন পরের বলটাই। পরের ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন পারভেজ হোসেন ইমন (৯)। এই ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব হযনি। একে একে সাজঘরমুখো হন তাওহিদ হৃদয় (১২), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১) ও জাকের আলী (৮)। পরপরই সেট হয়েও উইকেট বিলিয়ে আসেন শান্ত। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ৭৫/৬। এ অবস্থায় সফরকারীরা আদৌ শতরান পাবে কি না, তা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। শতরানের নিচে চাপা পড়ার লজ্জা দূর করেন মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। সপ্তম উইকেটে ১৮ রান যোগ করেন দুজন। ৫ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ফেরার আগে ১১ রান করেন রিশাদ। সঙ্গীহারা মিরাজ প্রান্ত আগলে রেখে খেলে গেলেও অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেননি দলকে। ৩২ বলের ইনিংসে তার হার না মানা ৩৫ রানের ইনিংসটিতে তিনটি চারের মার। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন আর্শদীপ ও বরুণ চক্রবর্তী। পেসার আর্শদীপ মাত্র ১৪ রান খরচায় শিকার করেন ৩ উইকেট। লেগস্পিনার বরুণ ৩ উইকেট নেন ৩১ রান দিয়ে।

জয়ের জন্য ১২৮ রানের টার্গেটে পৌঁছাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। কেউ খুব বড় ইনিংস না খেললেও কার্যকর ব্যাটিং করেন সঞ্জু স্যামসন (১৯ বলে ২৯) সূর্যকুমার (১৪ বলে ২৯)। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাকি পথ পাড়ি দেন নীতিশ কুমার রেড্ডি ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ভারত।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *